বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২৫, ০১:১৮ এএম

৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন মালিক গ্রেপ্তার

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২৫, ০১:১৮ এএম

বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন মালিক গ্রেপ্তার

অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে এনজিও ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎকারী চক্রের মূলহোতা মো. নাজিম উদ্দিন তনুকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার নাজিম নওগাঁ জেলার জগৎসিংহ গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে। তথ্য বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে সিআইডির এলআইসি ইউনিট তাকে গ্রেপ্তার করে বলে জানিয়েছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. জসীম উদ্দিন।

তিনি জানান, নওগাঁ সদরের অফিসপাড়া এলাকায় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ নামের একটি এনজিওতে নাজিমসহ আরও অনেক সদস্য সঞ্চয় জমা দেন। মাসিক ডিপিএস, এককালীন ঋণ গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেন। ভুক্তভোগী আরও অনেকে আলাদাভাবেও এককালীন আমানত হিসেবে অর্থ জমা করেন। প্রতি মাসে লাখ টাকার বিপরীতে ২ হাজার টাকা লভ্যাংশ পেতেন গ্রাহকরা। ওই প্রতিষ্ঠানে ভুক্তভোগীর আমানত হিসেবে মোট ২০ লাখ টাকা ছিল। এ ছাড়াও ভুক্তভোগীদের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল এজাহারে উল্লেখ করেন। প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায়ই অর্থ উত্তোলন, জমা প্রদানসহ আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন হতো। গ্রেপ্তারকৃত মো. নাজিম উদ্দিন তনু (৩৭) আলোচিত প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ছিলেন। 

সিআইডি জানায়, ২০২৪ সালের আগস্ট-পরবর্তী সময় থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা দেখা দেয়। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা তাদের জমাকৃত কিংবা ঋণের অর্থ ঠিকঠাক উত্তোলন করতে পারছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে অভিযাগ জানালে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে গ্রাহদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নেন পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন তনু। পরবর্তীতে গত বছরের নভেম্বর মাসে পুনরায় ‘বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন’ অফিসে উপস্থিত হয়ে বাদীসহ অন্য ভুক্তভোগীরা নিজেদের অর্থ ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের টাকা না দিয়ে সেখান থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়। পরে নওগাঁ সদর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী। সিআইডির তদন্তে এ পর্যন্ত ৮০০ ভুক্তভোগীর প্রায় ৬০০ কোটির অধিক টাকা প্রতারিত হয়েছেন বলে  প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে।

মামলাটি বর্তমানে সিআইডির নওগাঁ জেলা ইউনিট পরিচালনা করছে। মামলার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকায় এ পর্যন্ত মো. নাজিম উদ্দিন তনুসহ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!