সফরকারী আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ৪৭ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। সিলেট থেকে ঢাকায় ফিরে আইরিশদের বিপক্ষে আরেকটি বড় জয়ের অপেক্ষায় এখন টাইগাররা। আজ আয়ারল্যান্ডের বাকি ৪ উইকেট শিকার করতে পারলেই সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের জয়ের হাসি হাসবে স্বাগতিকরা। এতে দুই ম্যাচের সিরিজও ২-০ ব্যবধানে জিতবে বাংলাদেশ।
মিরপুরে আইরিশদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসেই জয়ের ভিত গড়ে ফেলে বাংলাদেশ। গতকাল ৪ উইকেটে ২৯৭ রান তুলে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা দেয় তারা। এতে শেষ ইনিংসে জয়ের জন্য ৫০৯ রানের লক্ষ্য পায় আয়ারল্যান্ড। জবাবে চতুর্থ দিনশেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান তোলে সফরকারীরা। হাতে থাকা ৪ উইকেটে জয়ের জন্য আরও ৩৩৩ রান দরকার তাদের। আর ড্র করতে চাইলে আজ পুরো দিন ব্যাটিং করতে হবে আয়ারল্যান্ডকে। তবে বাস্তবতা আভাস দিচ্ছে, বড় জয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ।
চতুর্থ দিনশেষে আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্পের ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১১ রান নিয়ে তার সঙ্গী অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন। গতকাল লাঞ্চের পরপরই ৫০৯ রানের লক্ষ্যে নেমে আয়ারল্যান্ড ষষ্ঠ ওভারেই হারায় তাদের অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নিকে। তাকে এলবিডব্লিউতে ছেঁটে সাকিব আল হাসানকে ছাড়িয়ে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়ে যান তাইজুল ইসলাম। খানিক পর পল স্টার্লিংকেও ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর ক্যাডে কারমাইকেলকে নিয়ে ৫১ রানের জুটিতে প্রথম প্রতিরোধ গড়েন হ্যারি টেক্টর। ২৫ বলে ১৯ করা কারমাইকেলকে চা-বিরতির আগে ফিরিয়ে দেন হাসান মুরাদ। টেক্টর ছিলেন আঁটসাঁট, পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি, তবে এরপরই উচ্চাবিলাসী শটে নিজেকে আত্মাহুতি দেন। মুরাদের স্পিনে লফটেড ড্রাইভ খেলে লং অফে ধরা দেন ডানহাতি ব্যাটার। প্রথম ইনিংসে দারুণ লড়াই করা লোরকান টাকার ব্যর্থ দ্বিতীয় ইনিংসে। পেসার খালেদ আহমেদের বলে লিটন দাসের গ্লাভসে জমা পড়ার আগে ১৬ বলে টাকার করেন ৭ রান। পাঁচে নেমে নিবেদন দেখাচ্ছিলেন ক্যাম্পের। স্টিফেন ডোহানিকে নিয়ে শেষ বিকেলে চলে তার লড়াই। ডোহানিকে সোজা বলে এলবিডব্লিউ করে ২৪৯তম শিকার বানান তাইজুল।
দিনের শুরুতে এক উইকেটে ১৫৬ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুত দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জলাঞ্জলি দেন সাদমান। আউট হন ৭৮ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। পরে মুমিনুল হক-মুশফিকুর রহিমের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আরও ১২৩ রান যোগ করে বাংলাদেশ। এই জুটি লাঞ্চ পেরিয়েও আবার খেলতে নামে। ১৬ রানে জীবন পেয়ে ফিফটি করেন মুশফিক। শততম টেস্টে সেঞ্চুরির পর ফিফটি করার আনন্দে ভাসেন তিনি। বাংলাদেশের ইনিংস ঘোষণা নির্ভর করছিল মুমিনুলের ওপর। লাঞ্চ থেকে ফিরে ৮৭ রানে ক্যাচ তুলে তিনি আউট হয়ে যেতেই ইনিংস ছেড়ে দেয় স্বাগতিকরা।

