শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৫, ০১:২০ এএম

আষাঢ় শেষেও বৃষ্টি নেই আমন রোপণে বিপাকে কৃষক

কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২৫, ০১:২০ এএম

আষাঢ় শেষেও বৃষ্টি নেই আমন রোপণে বিপাকে কৃষক

লালমনিরহাটে আষাঢ় শেষ হলেও এখনো বৃষ্টির দেখা নেই। আকাশে মাঝে মাধ্যে মেঘ জমলেও বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠঘাট হয়ে গেছে পানিশূন্য। এতে আমন ধান চাষে বিপাকে পড়েছেন জেলার কয়েক লাখ কৃষক। দিনে সামান্য বৃষ্টি হলেও মাঠ ভিজছে না। এতে বাধ্য হয়ে কৃষকরা সেচ দিয়ে আমন ধান রোপণ করছেন। এতে অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে প্রতি একরে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাটে চলতি মৌসুমে ৫৩ হাজার ৫০৩ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ থেকে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৬৭৩ টন। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অনেক কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে ধানবীজ ও সার।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, পানির অভাবে অনেক জমি এখনো ফাঁকা পড়ে আছে। কিছু জমিতে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আবার কোথাও কোথাও চারা শুকিয়ে লাল হয়ে যাচ্ছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত মাত্র ১৫ থেকে ২০ ভাগ জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। মাঠে কাজ করা কৃষকরা এখন আকাশের দিকে আছে বৃষ্টির আশায়।

উপজেলার কাকিনা গ্রামের কৃষক মনসুর আলী, সাইদুল ইসলাম ও ইয়াছিন আলী বলেন, ‘আষাঢ় শেষ হয়ে গেল, শ্রাবণ শুরু হলো। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। বাধ্য হয়ে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করছি। এতে প্রতি একরে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।’

উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক মোফাজ্জল হক বলেন, ‘কী আর করার, হামার পোড়া কপাল। আকাশ মেঘ করলেও বৃষ্টি নাই। শ্যালো মেশিনের পানি কিনি ধান নাগাইছি, সকালে পানি দিলে বিকেলে থাকে না। বৃষ্টি না হলে হামার এত খরচের জন্য লোকসান গোনা লাগবে।’

উপজেলার কাকিনা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টির অভাবে কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন। অনেক জমিতে পানি যাওয়ার উপযুক্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নেই। ফলে পলিথিন পাইপ বসিয়ে সেচ দিতে হচ্ছে। আমরা কৃষকদের নানা পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়ে আসছি। ’

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক  ড. সাইখুল আরিফিন বলেন, ‘বৃষ্টি না থাকায় এ বছর খরচ কিছুটা বেশি হচ্ছে। তবে আমরা কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করছি, যাতে তারা বড় কোনো সমস্যায় না পড়েন।’

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!