ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫

কক্সবাজারগামী ট্রেনের যাত্রা বাতিলে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ-ভাঙচুর

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২৫, ০২:১০ এএম

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বাতিল করায় বিক্ষোভ করেন যাত্রীরা। চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা স্টেশন ম্যানেজার ও মাস্টারের কক্ষের সামনে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে স্টেশনমাস্টারের রুমের সামনে ভাঙচুর করেন তারা।


রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে ফেরার পথে ট্রেনটি বিকেল ৫টার পর স্টেশনে পৌঁছায়। নির্ধারিত সময়ের পর ট্রেন আসায় কর্তৃপক্ষ তা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।
একদিকে, ট্রেনের বিলম্ব ও যাত্রা বাতিল করায় যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। বিক্ষোভের সময় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যাত্রীদের বাগ্বিত-াও হয়।


রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ‘গতকাল সকালে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনের নির্ধারিত আসনের চেয়ে ৩০টি আসন বেশি অনলাইনে বিক্রি হয়ে যায়। বিষয়টি ট্রেন ছাড়ার আগমুহূর্তে ধরা পড়লে অতিরিক্ত একটি কোচ সংযুক্ত করতে হয়। এতে প্রায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট দেরিতে সকাল সাড়ে ৭টায় ট্রেনটি ছাড়ে। এই ট্রেন কক্সবাজার থেকে ফিরে প্রবাল এক্সপ্রেস নামে চট্টগ্রাম থেকে পুনরায় যাত্রা করার কথা ছিল বেলা ৩টা ১০ মিনিটে। কিন্তু সকাল থেকেই সময়সূচিতে বিঘœ ঘটায় সন্ধ্যার দিকে তা বাতিল করা হয়।


রেলওয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, ট্রেনটি চালানো হলে সেটি কক্সবাজার পৌঁছাতে রাত ১১টা বেজে যেত। তখন স্টেশনে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকায় যাত্রা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, ‘অনিবার্য কারণে ট্রেনের যাত্রা বাতিল করতে হয়েছে। এতে অনেক যাত্রী ফিরে গেলেও কিছু যাত্রী বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন এবং পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’


এদিকে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন গতকাল ট্রেন বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। অনেকেই পরিবার নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণে যাচ্ছিলেন। আবার কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম ফেরার পরিকল্পনাও ছিল সৈকত এক্সপ্রেসে। প্রবাল এক্সপ্রেস না যাওয়ায় সেই ট্রেনটিও বাতিল হয়, ফলে যাত্রীদের বিকল্প পথে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে।