ঢাকা শুক্রবার, ০৮ আগস্ট, ২০২৫

স্রোতেই ধসে পড়ল ব্যস্ত সড়কের সেতু

চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৫, ০২:৫৯ এএম

ভারি বৃষ্টিতে স্রোত বেড়ে যাওয়ায় ধসে পড়েছে চট্টগ্রাম নগরীর একটি সেতু। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে নগরীর দুই নম্বর গেট থেকে অক্সিজেনমুখী বায়েজিদ বোস্তামি সড়কের স্টারশিপ এলাকায় শীতল ঝর্ণা খালের ওপর সেতুটি ধসে পড়ে। ফলে ব্যস্ততম ওই সড়কের একপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অন্য পাশ দিয়ে গাড়ি চলছে। উভয়মুখী গাড়ি একই লেন দিয়ে চলাচল করায় সৃষ্টি হয়েছে যানজট। এদিকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, শীতল ঝর্ণা খাল ব্রিজের ভাঙা অংশের ফাঁক দিয়ে তীব্র গতিতে পানি নামছে। দুর্ঘটনাস্থলে ব্রিজের চারপাশ ঘিরে লাল ফিতা দিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সড়কের এক পাশ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং বিপরীত দিক দিয়ে সীমিত পরিসরে যান চলাচল চালু রাখা হয়েছে। এতে দুই দিকেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

চট্টগ্রামের রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলা, অক্সিজেন মোড় হয়ে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িমুখী যানবাহন চলে বায়েজিদ বোস্তামি সড়ক দিয়ে। সড়কটির দুই পাশে বেশকিছু শিল্পকারখানা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোবারক জানান, ফজরের নামাজের সময় ব্রিজ ভেঙে পড়ার শব্দ শুনে আমি দ্রুত আশপাশের গাড়িচালকদের সতর্ক করেছি। পরে সবাইকে বলে দিয়েছি যেন কেউ সেদিকে গাড়ি না চালায়।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রিফাতুল করিম চৌধুরী বলেন, এটি বহু বছরের পুরোনো ইটের তৈরি সেতু। ১৯৮০ সালের দিকে করা হয়েছিল। পানির চাপে সেতুটি ভেঙে গেছে। এখন রাস্তার ওই অংশ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি ভাঙা ব্রিজ এলাকা ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। পরিদর্শন শেষে মেয়র বলেন, ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে। আমরা জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিকল্প ব্যবস্থা ও মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, চলমান জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অধীনে শীতল ঝর্ণা খাল খনন করা হয়েছে। তাতে জলাবদ্ধতা কমেছে। কিন্তু নিচ থেকে মাটি ওঠানোর কারণে ব্রিজের নিচের মাটি সরে গেছে।
এদিকে গত বুধবার গভীর রাত থেকে নগরীতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। টানা বর্ষণে নগরীর মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, চান্দগাঁও আবাসিক, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, হালিশহর বসুন্ধরা আবাসিক, নন্দীরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।