প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর ৩০ বছরের বেশি সময় পর তার রেখে যাওয়া একটি টাইম ক্যাপসুলের খোঁজ মিলল। লন্ডনের একটি হাসপাতালে খনন করে ওই টাইম ক্যাপসুল বের করে সেটি খোলা হয়েছে। এই টাইম ক্যাপসুল ছিল একটি ছোট বাক্স। ওয়েলসের প্রিন্সেস এবং লন্ডনের গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হসপিটাল ফর চিলড্রেনের (জিওএসএইচ) সভাপতি হিসেবে প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানা এই বাক্স পুঁতে রেখেছিলেন।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালের মার্চ মাসে জিওএসএইচের ভ্যারাইটি ক্লাব বিল্ডিংয়ের ভিত্তির নিচে এই বাক্স পুঁতে রাখা হয়েছিল। নতুন শিশু ক্যানসার সেন্টারের নির্মাণকাজ শুরুর পর সিসা-আবৃত কাঠের এই টাইম ক্যাপসুলটি সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়।
বাক্সের ভেতরে যা পাওয়া গেছে, তা ছিল নব্বই দশকের শুরুর দিকের জীবনযাপনের এক দারুণ ঝলক। জিওএসএইচ গত বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১৯৯১ সালে যারা জন্মেছিলেন বা তখন সেখানে কর্মরত ছিলেন, তাদের সাহায্যে বাক্সটি খোলা হয়। এর মধ্যে পাওয়া গেছে, হাতের মুঠো আকারের একটি ছোট টেলিভিশন, প্রখ্যাত অস্ট্রেলিয়ান সংগীতশিল্পী কাইলি মিনোগের একটি সিডি আর কিছু গাছের বীজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জনপ্রিয় শিশুদের টেলিভিশন শো ‘ব্লু পিটার’-এর একটি প্রতিযোগিতায় জয়ী দুই শিশুÑ সিলভিয়া ফোলকস এবং ডেভিড ওয়াটসন ক্যাপসুলের ভেতরে রাখার জন্য জিনিসগুলো বেছে নিয়েছিল।
ওই দুই শিশু রেখেছিলÑ কাইলি মিনোগের ‘রিদম অব লাভ সিডি’, একটি ইউরোপীয় পাসপোর্ট, পুনর্ব্যবহারযোগ্য কাগজ, একটি ছোট টিভি, যুক্তরাজ্যের কিছু কয়েন, একটি স্নোফ্লেক হোলোগ্রাম, কিউ গার্ডেনসের গাছের বীজ, আর সৌরশক্তিচালিত ক্যালকুলেটর। এ ছাড়া ছিল ফোলকস এবং ওয়াটসনের লেখা চিঠি, দ্য টাইমস পত্রিকার একটি কপি, আর ডায়ানার একটি ছবি।
তিন দশকের বেশি সময় মাটির নিচে থাকার পরও অধিকাংশ জিনিস অক্ষত ছিল। আর্কাইভের কর্মীরা জানান, কয়েকটি জিনিস পানিতে ভিজে সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শিশু হেমাটোলজি, অনকোলজি এবং বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট ইউনিটের ক্লিনিক্যাল ফেলো হিসেবে কাজ করা রোচানা রেডকার টাইম ক্যাপসুল তুলতে সাহায্য করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই আয়োজনের অংশ হতে পারাটা দারুণ ছিল। আমি ছয় মাস আগে মাত্র জিওএসএইচে যোগ দিয়েছি। টাইম ক্যাপসুল তুলতে সাহায্য করতে পেরে আমি ভীষণ উত্তেজিত ছিলাম। বাক্সটি যে বছর মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল, সেই বছর আমার জন্ম।’
সিনিয়র হেলথ প্লে স্পেশালিস্ট জ্যানেট হোমস ১৯৯১ সালে জিওএসএইচে কাজ করতেন। তিনি বলছিলেন, ‘পকেট টিভিটা দেখে অনেক স্মৃতি ফিরে এল। আমি আমার স্বামীর জন্য একটি ছোট টিভি কিনেছিলাম, যাতে তিনি সারা দেশে কোচ চালানোর মধ্যে বিরতির সময় টিভি দেখতে পারেন। তখন এগুলো ছিল খুব দামি।’
জিওএসএইচের স্পেস অ্যান্ড প্লেসের নির্বাহী পরিচালক জেসন ডাউসন ক্যাপসুল খোলা ও তোলার কাজ তত্ত্বাবধান করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এটা বেশ আবেগঘন ঘটনা ছিল...এটি যেন আগের প্রজন্মের রেখে যাওয়া স্মৃতির সঙ্গে সরাসরি সংযোগ তৈরি করে দিল।’
প্রিন্সেস ডায়ানা ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৭ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ হাসপাতালের সভাপতি হিসেবে কাজ করেছিলেন। তিনি বহুবার এখানে এসেছেন, তার দুই ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারিকে নিয়েও এসেছেন।
১৮৭২ সালে ওয়েলসের তখনকার প্রিন্সেস আলেক্সান্দ্রা পুরোনো হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। তখন তিনিও একটি টাইম ক্যাপসুল পুঁতে রেখেছিলেন, যাতে ছিল রানি ভিক্টোরিয়ার ছবি এবং দ্য টাইমসের একটি কপি। তবে সেটি এখনো কেউ খুঁজে পায়নি। নতুন হাসপাতালের সংস্কার শেষ হলে জিওএসএইচ আবার একটি নতুন টাইম ক্যাপসুল পুঁতে রাখার পরিকল্পনা করছে।
 

 
                            -20250830052931.webp) 
                                     সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                    -20251030020737.webp) 
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
       -20251030020059.webp) 
       -20251030020010.webp) 
       -20251030015911.webp) 
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       -20251025002118.webp) 
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন