একদল মুক্তিযুদ্ধ বিক্রি করে সুবিধা নিয়েছে, আরেক দল চব্বিশ দিয়ে আখের গোছাতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের কৃতিত্ব শুধু জনগণের। বিএনপি কোনো কৃতিত্ব নিতে চায় না’।
গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে তিনি এমন মন্তব্য করেন। আমির খসরু বলেন, ‘বিপ্লবোত্তর যেসব দেশে দ্রুত নির্বাচন হয়নি বরং দাবি আদায় পূরণে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে, সেসব দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে আছে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আন্দোলনের কৃতিত্ব নিয়ে লড়াই হলে দেশের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তায় পড়বে। এই পরিবর্তন ধারণ করতে না পারলে কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির ভবিষ্যৎ ভালো হবে না’।
জনগণের ভোটে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেলে স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়াবে মন্তব্য করে আমির খসরু বলেন, ‘দক্ষ শ্রমিক বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করব। এক কোটি বেকারকে চাকরির ব্যবস্থা করব। যা আমাদের ৩১ দফায় ইতোমধ্যে বলা হয়েছে’।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আন্দোলনের কৃতিত্ব নিয়ে লড়াই চলছে। যদি কৃতিত্ব নিয়ে লড়াই করেন, তাহলে এদেশ এগুতে পারবে না। কৃতিত্ব নিয়ে পড়ে থাকলে দেশের মঙ্গল হবে না। মুক্তিযুদ্ধের পর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা যার যার কাজে ফিরে গেছেন। তারা কৃতিত্ব নিয়ে লড়াই করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিপ্লব পরবর্তী যেসব দেশ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে তারাই ভালো করেছে। হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর এক বছর সময় হয়ে গেছে। দ্রুত নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তর করা ছাড়া দেশের আর কোনো উপায় নেই।’
গণতন্ত্র হলো দেশের প্রতিটি নাগরিকের ভোটাধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার, সামাজিক অধিকার, ব্যবসার অধিকার, সঠিকভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করা, মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘শুধু ভোট দেবে আর ক্ষমতায় যাবে, এটাই গণতন্ত্র না।’ দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে লোক দেখানো বড় বড় মেগা প্রজেক্টের দরকার নেই। আগে জনগণের মৌলিক বিষয়গুলো সমাধান জরুরি বলে মনে করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।