দেশে আনা ৫ হাজার ৪৮৯টি বিলাসবহুল গাড়ির খোঁজে নেমেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গাড়িগুলোর মধ্যে ১ হাজার তিন শতাধিক বিলাসবহুল গাড়ির মালিক কর ফাঁকি দিতে তাদের কর ফাইলে এসব গাড়ির তথ্য গোপন করেছেন এবং ৪০৯টি গাড়ির মালিক কোনো কর রিটার্ন জমা দেননি।
তবে সব গাড়িই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছে নিবন্ধিত বলে জানিয়েছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
এনবিআরের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, তথ্য গোপন করা প্রতিটি গাড়ির দাম (শুল্ক ও করসহ) ১ কোটি থেকে ১০ কোটি টাকার মধ্যে। তথ্য গোপন করা গাড়িগুলোর তালিকায় রয়েছে টয়োটা, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ, জিপ, ল্যান্ড রোভার, অডি, রেঞ্জ রোভার, পোরশে, জাগুয়ার, বেন্টলি, রোলস-রয়েস, ক্যাডিলাক, মেসারাতি, টেসলা, ফেরারি এবং ল্যাম্বরগিনি।
এনবিআর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিলাসবহুল গাড়ির তথ্য গোপন করা ব্যক্তিদের তালিকায় ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার, এমনকি করপোরেট প্রতিষ্ঠানও আছে। গাড়িগুলো সম্পর্কে সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবিব বলেন, ‘মালিকরা তাদের কর ফাইলে গাড়িগুলোর তথ্য উল্লেখ করেননি। অর্থাৎ গাড়ি কেনার সমপরিমাণ আয় গোপন করেছেন। তার মানে এই আয় অবৈধ উৎস থেকে হতে পারে।’
তিনি আরও জানান, ‘সিআইসি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর অফিসগুলোকে কর আইনের আওতায় ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিয়েছে।’
সিআইসি অনুমান করছে, এই গাড়ির মালিকদের কাছ থেকে এক হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় করা সম্ভব। এ পর্যন্ত গোয়েন্দা সংস্থা দেশজুড়ে মোট ৫ হাজার ৪৮৯টি বিলাসবহুল গাড়ির খোঁজ পেয়েছে। যার মধ্যে ২ হাজার ৭১৯টি গাড়ির তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে আবার ১৪৮টির তথ্যের অসঙ্গতি পাওয়ায় পুনরায় তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত পাঁচ করবর্ষ (ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত) ধরে বিলাসবহুল গাড়ির মালিকানা নিয়ে বিআরটিএ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই তদন্ত করে সিআইসি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন