শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


হাসানুজ্জামান হাসান, কালীগঞ্জ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫, ০৭:০৬ এএম

সবুজ পাতার ফাঁকে রঞ্জু মিয়ার রঙিন স্বপ্ন

হাসানুজ্জামান হাসান, কালীগঞ্জ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫, ০৭:০৬ এএম

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে মাল্টা বাগানের সামনে রঞ্জু মিয়া। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে মাল্টা বাগানের সামনে রঞ্জু মিয়া। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে অন্যান্য কৃষি ফসলের পাশাপাশি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর রসালো ফল মাল্টা চাষে ঝুঁকেছেন চাষিরা। এখন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাল্টা চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। তবে অন্যান্য ফল ও ফসলের দাম কমে যাওয়ায় এবং খরচ বেড়ে যাওয়ায় মাল্টার দিকে ঝুঁকেছেন চাষিরা।

চাষিরা বলছেন, নতুন জাতের ফল ও ফসলের প্রতি সবারই আগ্রহ থাকে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা যেকোনো ফলের প্রতি ক্রেতাদেরও আগ্রহ থাকে এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। এ কারণে কৃষকেরা মাল্টা চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছেন।

কালীগঞ্জের কাকিনার কৃষক রঞ্জু মিয়া। তিনি ৬৫ শতাংশ জমিতে বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ করেছেন। সবুজ পাতার ফাঁকে ঝুলছে সবুজ মালটা। এর পাশাপাশি মাল্টা বাগানের পরিত্যক্ত জায়গায় সাথি ফসল হিসেবে মুখিকচু ও সুপারির চারা রোপণ করেছেন। একই জমিতে তিন ফসল আবাদ করে বাড়তি আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে রঞ্জু মিয়ার বছরে আয় হচ্ছে ৪ লাখ টাকা।

কৃষক রঞ্জু মিয়া বলেন, ‘বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ করেছি। এই জাতের মাল্টার ফলন ও চাহিদা ভালো থাকায় ৬০-৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। মাল্টা বাগানের ফাঁকা পরিত্যক্ত জায়গায় মুখিকচু ও সুপারির চারা রোপণ করেছি। এতে কিছুটা বাড়তি আয় হচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আমাকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।’

স্থানীয়রা বলেন, রঞ্জু মিয়া একজন সফল মাল্টাচাষি। তার মাল্টার বাগান দেখে অনেকে আগ্রহী হচ্ছেন। দিনে দিনে এক জমিতে তিন ফসল চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কালীগঞ্জ উপজেলায়।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত মাল্টার বাগান পরিদর্শন ও পরামর্শ প্রদান করা হয় বলে জানান ওই ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় বলেন, ‘কালীগঞ্জ উপজেলার মাটি বেলে-দোআঁশ এবং উঁচু হওয়াসহ মাটিতে পিএইচের পরিমাণ কম হওয়ায় এখানে মাটিতে অ্যাসিডিটি রয়েছে; তাই মাল্টা ও কমলার ফলন ভালো হয়। কাকিনার কৃষক রঞ্জু মিয়া মালটার বাগানের ফাঁকে মুখিকচু এবং অন্য সবজি আবাদ করেছেন। আশা করছি তাকে দেখে অন্য কৃষকেরা উদ্বুদ্ধ হবেন। বারি-১ লাভজনক ও সুস্বাদু ফল হওয়ায় চাহিদা বেশি।’

Link copied!