নাচ আমার খুবই পছন্দ। নাচের যে কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আমার খুবই ভালো লাগে। এই ভালো আরও বেড়ে যায় যখন পুরস্কার পাইÑ বলছিলেন খুদে প্রতিযোগী রূপকথা দাস। এ সময় মঞ্চে ধীরে ধীরে আলো জ¦লে উঠল। এর পরেই খুদে বিজয়ীদের ডাকা হয় মঞ্চে পুরস্কার গ্রহণের জন্য।
দেশের স্বনামধন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান ভাইয়া গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ভাইয়া হোটেলস্ অ্যান্ড রিসোর্টসের নতুন উদ্যোগ হোটেল সল্ট বের আয়োজনে ‘সল্ট বে কিড ফেস্ট ২০২৫’ শীর্ষক শিশুদের নৃত্য এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী গতকাল শনিবার বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের (বিসিএফসি) সেলিব্রেটি হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ভাইয়া হোটেলস্ অ্যান্ড রিসোর্টসের চেয়ারম্যান মারুফ সাত্তার আলী স্বাগত বক্তব্য দেন।
শিশুদের নৃত্য ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় এ এবং বি ক্যাটাগরিতে মোট ২০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়া লটারির মাধ্যমে আরও ২০ জনকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রায় পাঁচ হাজার খুদে প্রতিযোগীর এ আয়োজনে বিজয়ীদের মধ্যে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেটসহ আকর্ষণীয় পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে দেওয়া হয় সার্টিফিকেট।
নৃত্য প্রতিযোগিতায় এ গ্রুপে প্রথম হয়েছেনÑ পারসা ইসলাম; দ্বিতীয় আনিন্দিতা দাস; তৃতীয় রূপকথা দাস; চতুর্থ আইনতিকা কর্মকার এবং পঞ্চম হন রোজা রেজা। এ ছাড়া বি গ্রুপে প্রথম হন দেবশীনিতা বিশ্বাস; দ্বিতীয় হয় মাহিয়া ইসলাম মানহা; তৃতীয় ওয়াফিকা আসরা আদ্রি; চতুর্থ ফ্রোফিডিয়া ইসলাম রাইনা ও পঞ্চম স্থান অধিকার করে দেবমিতা বশাক।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতায় এ গ্রুপে প্রথম হয়েছে নিশাদ ইবনে রশিদ; দ্বিতীয় শেহরাজ ফয়সাল; তৃতীয় ইদিন মাহমুদ; চতুর্থ ইসহায়াত আহমেদ এবং পঞ্চম স্থান অধিকার করে মাহিন সাফায়েত। এ ছাড়া বি গ্রুপে প্রথম হয়েছে আরয়া আজমী, দ্বিতীয় স্নিগ্ধা নাগ, তৃতীয় আইমান আমিন আসির, চতুর্থ ফাইজুর ফাইজা লিনা এবং পঞ্চম আনান্দিতা আকশিতি আদ্রি।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের ইনানী বিচে আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল সল্ট বে’র শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে চলে এ আয়োজন। ‘বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত আত্মবিশ্বাসের নতুন ঠিকানা’ স্লোগান নিয়ে ‘সল্ট বে’র উদ্বোধন হয়। গ্রাহকের ভবিষ্যতের নিরাপদ বিনিয়োগ ও লাক্সারি আশ্রয়ের জন্য নতুন এই পাঁচ তারকা মানের হোটেল নিয়ে এসেছে ভাইয়া হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড। সল্ট বে হোটেলের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে ছিল শিশুদের মেধা বিকাশে নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন। যে প্রতিযোগিতায় প্রায় পাঁচ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
আয়োজনের প্রতিযোগীদের অভিভাবকরা জানান, এটি খুবই ভালো উদ্যোগ। বাচ্চাদের মেধা বিকাশে এমন আয়োজনের জন্য ভাইয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ধন্যবাদ জানাই। আমার সন্তান খুব খুশি, তার প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ পেয়েছে।’ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী স্নিগ্ধা বলে, ‘রঙের মিশেলে গাছ ও ফুলের ছবি এঁকেছি। পুরস্কার পেয়ে খুবই ভালো লাগছে।’ স্নিগ্ধার বাবা বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতা শিশুদের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিযোগিতার মানসিকতা তৈরি করবে। পুরস্কার জিতুক বা না জিতুক, এখানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার আত্মবিশ্বাস ও সামাজিক দক্ষতা বাড়বে। এটি শিশুদের শেখা ও বেড়ে ওঠার একটি অংশ। আমি চাই প্রতিবছরই এমন উৎসব আয়োজন করা হোক।’
এ আয়োজনের প্রথম দিন গত বৃহস্পৃতিবার অনুষ্ঠিত হয় শিশুদের নৃত্যানুষ্ঠান। যেখানে রাজধানীর ৫০টিরও বেশি স্কুলের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। শিশুদের প্রাণবন্ত পরিবেশনা দেখে আপ্লুত হন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই। অভিভাবকরা জানান, এমন আয়োজন শুধু বিনোদন নয়, শিশুদের মেধা ও মনন বিকাশের জন্য অসাধারণ সুযোগ তৈরি করে দেয়। পুরস্কারপ্রাপ্তি শিশুদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, আবার অংশগ্রহণই হয়ে ওঠে তাদের জন্য আনন্দ ও প্রেরণার উৎস। এ আয়োজনে উপস্থিত শিক্ষকরাও বলেন, একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি এমন উৎসব শিশুদের সৃজনশীল দিকগুলো বিকশিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। আয়োজনের তৃতীয় দিনে উপস্থিত ছিলেন ভাইয়া গ্রুপ, ভাইয়া হাউজিং ও ভাইয়া হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।