ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর, ২০২৫

বললেন তারেক রহমান

প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৫, ০৩:২৯ এএম

শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমাদের রাষ্ট্র এবং সংবিধানে দল-মত ও ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী, সংশয়বাদী প্রত্যেক মানুষের নিরাপত্তা বিধানের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।’ তিনি আরও বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে আমি হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাদের সুখ-শান্তি ও কল্যাণ কামনা করি।’

গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আবহমানকাল ধরে দেশের বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষ প্রতিটি গোষ্ঠী-গোত্র-সম্প্রদায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে যার যার ধর্ম পালন করে আসছে, এটি বাংলাদেশে ঐতিহ্যগত ধর্মীয় সামাজিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির সৌন্দর্য। শরতে বাংলাদেশের চারদিকে কাশফুল ও শীতের আভাস জানান দেয় এই উৎসবের বার্তা। আর উৎসব হচ্ছে অন্ধকারের গহন থেকে আলোকের উদ্ভাসন।’

তিনি বলেন, ‘দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি আমার আহ্বান, আপনারা উৎসাহ-উদ্দীপনাসহ নিশ্চিন্তে নিরাপদে সারা দেশে উৎসব আনন্দ উদযাপন করুন। সৌহার্দ-সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিন। আমি এবং আমার দল বিএনপি বিশ্বাস করেÑ ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার।’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমি মনে করি, উৎসবের ভেতর দিয়েই পরিস্ফুটিত হয়ে ওঠে আমাদের বিভিন্ন ধর্ম-গোত্র-সম্প্রদায়ের মধ্যকার পারস্পরিক বন্ধুত্ব, সম্প্রীতি, সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্ব। আমাদের রাষ্ট্র ও সংবিধানে দল-মত, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী, সংশয়বাদী প্রত্যেক মানুষের নিরাপত্তা বিধানের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।’

তিনি আরও বলেন, ‘পবিত্র হাদিসেও এ ব্যাপারে নির্দেশনা রয়েছে, ‘যে ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত অমুসলিমকে নির্যাতন করে, তার অধিকার খর্ব করে, তাকে সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেয় বা তাদের অসম্মতিতে ধন-সম্পদ হরণ করে নেয়’, এ ধরনের জুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের প্রিয় নবী (সা.) তার উম্মতদের সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, কেয়ামতের দিন আমিই সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়ব।’ ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে একজন নাগরিক হিসেবে অপর নাগরিকের নিরাপত্তা ও সম্মান রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা রাখবে এবং নৈতিক দায়িত্ব পালন করবে, এটিই স্বাভাবিক রীতি। উৎপীড়ন ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্য দিয়ে যারা সমাজ ও মানবসভ্যতা ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় কুশাসন, তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা ন্যায়সংগত।’

তারেক রহমান বলেন, ‘শারদীয় উৎসব ঘিরে ফ্যাসিবাদী শাসনামলের মতো কেউ যাতে কোনো রকম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মতো পরিস্থিতি কিংবা নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার মতো কোনো অপচেষ্টা করতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক এবং সজাগ থাকার জন্য আমি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই।