বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন আবেগে এনসিপির বিষয়ে মন্তব্য করেছেন উল্লেখ করে তাকে ‘ম্যাচিওর’ রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়েছেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। গতকাল সোমবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশে যাওয়ার আগে এ আহ্বান জানান তিনি।
সারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির সংস্কৃতি ঠিক করতে হলে সবাইকে সবার জায়গা থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। আমি যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেই যে, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী কক্সবাজারে যা বলেছেন সেটা আমাদের অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের প্রত্যাশা অনুযায়ী ছিল না। কিন্তু গত ২০ জুলাই বিএনপির আরেকজন মুখপাত্র ইশরাক হোসেন তার বক্তব্যে কিছু মানুষকে উলঙ্গ করে মারার কথা বললেন।
কিছু কটূক্তি ও একদম নি¤œমানের কিছু শব্দ ব্যবহার করে যেভাবে কথা বললেন, এটা পাটওয়ারীর বক্তব্যের চেয়ে অনেক ধাপ নিচের বক্তব্য। এনসিপির এই নেতা বলেন, আমরা যদি কারোর কাছ থেকে ভালো কিছু প্রত্যাশা করি তাহলে তার চেয়ে ভালো করতে হবে। যদি তার চেয়ে খারাপ কিছু করে ভালো প্রত্যাশা করি তাহলে তো ভালো হবে না। আমরা চাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রত্যেকটা ব্যক্তির মধ্যে সম্মানজনক সম্পর্ক গড়ে উঠুক। এ জন্য আমাদের যা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
রাজনৈতিকভাবে এনসিপিকে ঘেরাও করা হবে ইসরাক হোসেনের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, গতকাল ইশরাক ভাইয়ের বক্তব্য শুনে মনে হয়েছে, তিনি একবারেই আবেগের বশবর্তী হয়ে ওই বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্যে পলিটিক্যাল ম্যাচিউরিটির কিছুই দেখিনি। আমরা আশা করছি, ফ্যাসিস্টবিরোধী লড়াইয়ে যেমন ইশরাক হোসেনকে দেখেছিলাম, আমরা সেই ইশরাক হোসেনকে দেখতে চাই। এ ধরনের বক্তব্য তার কাছে কখনোই প্রত্যাশিত নয়।
এ সময় আওয়ামী লীগের হরতাল প্রসঙ্গে সারজিস বলেন, আওয়ামী লীগ একটা নিষিদ্ধ দল। তাদের হরতাল বাংলাদেশের মানুষ পরোয়া করে না। বরং তারা যা করছে এটি সন্ত্রাসী কার্যক্রম। আমরা বিশ্বাস করি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের জায়গা থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
এ সময় দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সময়ের মধ্যেই এনসিপির ঘাটতি থাকা তথ্য সরবরাহ করা হবে। নিবন্ধন ইস্যুতে এনসিপির কোনো ঘাটতি নেই।