জাপানি এক নারী হাসপাতালে গিয়েছিলেন জরায়ুর সমস্যা সমাধানে। চিকিৎসকেরা বললেন, তেমন কিছু না, লেজার সার্জারি করলেই ঠিক হয়ে যাবে। সব আনুষ্ঠানিকতা সেরে তিনি নিশ্চিন্তে অপারেশন টেবিলে শুয়ে পড়লেন। কিন্তু কে জানত, এই সার্জারিই তার জীবনের সবচেয়ে ‘জ্বলন্ত’ অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে!
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে টোকিও মেডিকেল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে। ত্রিশের কোটায় থাকা সেই নারী অস্ত্রোপচারের সময় হঠাৎ একটু পেট হালকা করতে গিয়েছিলেন। মানে, একটু বায়ু ত্যাগ করেছিলেন আরকি। আর সেই ‘বায়ুর ঝাঁজই’ লেজারের সঙ্গে মিলে এমন আগুন লাগাল যে, তার পা পুড়ে গেল!
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে যে রিপোর্ট দিয়েছে, তা আরও বিস্ময়কর। এতে বলা হয়েছে, ‘রোগীর অন্ত্র থেকে নির্গত বায়ু লেজারের বিকিরণে জ্বলে উঠে আগুনের সৃষ্টি করে। সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অস্ত্রোপচারের কাপড়ে এবং রোগীর পা
দগ্ধ হয়।’
তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, এমন ঘটনা ভয় পাওয়ার মতো কিছু নয়, বরং খুবই দুর্লভ। লেনক্স হিল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রবার্ট গ্ল্যাটার বলেন, ‘এটা খুবই অস্বাভাবিক একটা ঘটনা। আমি সন্দেহ করি, শুধু গ্যাস নয়, অন্য কিছু যেমন অ্যালকোহলজাত অ্যান্টিসেপটিক দ্রব্যও এই আগুন লাগানোর জন্য দায়ী হতে পারে। অপারেশনের আগে সেগুলো না শুকালে এমন ঝুঁকি থেকে যায়।’
তবে টোকিওর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর দায় নিতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, সব চিকিৎসা সরঞ্জাম ঠিকঠাক কাজ করছিল। অতএব, একমাত্র দোষী-রোগীর অন্ত্রের সেই ‘রহস্যময় বায়ু!’
নিউ জার্সির ডেমিয়ান হ্যান্ডজি আবার বিষয়টা একদম হালকাভাবে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দিনে দিনে এমন সব ঘটনা ঘটছে, এটা তো আর কোনো ভয়ের ব্যাপার না। বরং গল্প করার মতো জিনিস!’ এদিকে অনেকে আবার ঠাট্টা করে বলছেন, ‘লেজার সার্জারির আগে শুধু না খেয়ে থাকলেই হবে না, পেট একেবারে খালি করে আসতে হবে!’