‘শহিদ আবু সাঈদের যে বুলেটবিদ্ধ ছবি, হয়তো একসময় মানুষ তাকে ভুলে যাবে, কিন্তু এই ছবিগুলো ইতিহাসকে মনে করিয়ে দেবে’ বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে তিন দিনব্যাপী ‘ক্যামেরায় জুলাই বিপ্লব’ শীর্ষক ছবি প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট নিয়ে আমরা বলি ৩৬ দিনের বিপ্লব। কিন্তু এই সময়ের গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- শুধু ৩৬ দিনের ইতিহাস নয়, এটি ১৬ বছরের নির্যাতনের প্রতিচ্ছবি। শহিদদের ভুলে যাওয়া হবে তাদের প্রতি চরম অবিচার।’
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসীন বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের চিরকৃতজ্ঞতা। গত সাড়ে ১৫ বছরে গুম-খুন ও রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বহু মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। জুলাই বিপ্লব সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক গর্জন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে এখন পর্যন্ত ৮০ জনকে ফ্যাসিস্ট-মুক্ত করা হয়েছে, প্রক্রিয়া চলমান। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবকে ফ্যাসিস্ট-মুক্ত করতে না পারলে শহিদদের রক্ত বৃথা যাবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি। সঞ্চালনায় ছিলেন ‘ক্যামেরায় জুলাই বিপ্লব’-এর আহ্বায়ক মোহাম্মদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত আলোকচিত্রী নুরুদ্দিন আহমেদ, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি বুলবুল আহমদ, দ্য পিপলস ভিউর সম্পাদক ওসমান গণি মনসুর, কালের কণ্ঠের ব্যুরো-প্রধান মুস্তফা নঈম, এনটিভির ব্যুরো-প্রধান শামসুল হক হায়দরী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালে নোমান, প্রেসক্লাবের সদস্য মিয়া মোহাম্মদ আরিফ ও চট্টগ্রাম ফটো সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বক্তৃতা করেন।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রায় ১৬০টি ছবি স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে। এসব ছবিতে উঠে এসেছে জুলাই-আগস্টের উত্তাল রাজনৈতিক সময়, গুম, খুন ও নির্যাতনের নানা চিত্র।