সিলেটের ওসমানীনগরে রবিউল ইসলাম নাঈম (১৪) নামের এক কিশোর হত্যার ঘটনায় মামলা না নেওয়ার প্রতিবাদে ছেলের মরদেহ সঙ্গে নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন মা পারুল বেগম (৫৫) ও স্বজন এবং এলাকাবাসী।
গত মঙ্গলবার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগর থানার সামনে সড়কে অবস্থান নিয়ে তারা প্রায় ২ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় ওসমানীনগর থানার সামনের দুই দিকে মহাসড়কে শত শত যাত্রীবাহী যানবাহন আটকা পড়ে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন দূরপাল্লার সাধারণ যাত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত রবিউল ইসলাম নাঈম ২৬ জুলাই নিখোঁজ হন। রবিউলের স্বজনরা সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। গত ৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল এলাকার রেলস্টেশনের পার্শ্ববর্তী ডোবা থেকে অজ্ঞাতনামা এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে কুলাউড়া থানা পুলিশ। খবর পেয়ে রবিউলের পরিবার এবং ওসমানীনগর থানা পুলিশ কুলাউড়ায় উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতনামা মরদেহটি নিখোঁজ রবিউলের বলে শনাক্ত করেন। রবিউল উপজেলার গোয়ালাবাজারের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসংলগ্ন ব্রাহ্মণগ্রাম সুপ্রিম ফিলিং স্টেশনের পাশে বগুড়া রেস্টুরেন্টে নাইট শিফটে কাজ করত। রবিউলের পরিবারের অভিযোগ, হোটেল মালিক বুলবুল আহমদ নাঈমের সঙ্গে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করে তাকে হত্যা করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ নানা তালবাহানা শুরু করে। এর প্রতিবাদে পরিবারসহ গ্রামবাসী থানার সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এ সময় রবিউলের ভাই বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে অনৈতিক কাজ করে বুলবুল আমার ভাইকে হত্যা করা করেছে। আমরা অভিযুক্তদের নাম-ঠিকানা দিয়েও মামলা করতে পারিনি। পুলিশ শুরু থেকেই টালবাহানা করছে। আমরা হত্যাকারীর ফাঁসি চাই। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের আশ্বাসে অবরোধ কর্মসূচি সন্ধ্যার দিকে প্রত্যাহার করে নেয় এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ওসমানীনগর ওসি মো. মোনায়েম মিয়া বলেন, মামলা না নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। ঘটনাটি কুলাউড়ায় ঘটার কারণে এখানে মামলা নেওয়া যাচ্ছে না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে মামলা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত রেস্টুরেন্ট মালিক বুলবুল পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :