ঢাকা শুক্রবার, ০৮ আগস্ট, ২০২৫

প্রিজন সেল থেকে পালাল মাদক মামলার আসামি

খুলনা ব্যুরো
প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৫, ০২:৪০ এএম

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে ইউসুফ (২৩) নামের এক মাদক মামলার আসামি পালিয়ে গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি পালিয়ে যান। পলাতক ইউসুফ নগরীর খালিশপুর থানার আলমনগর মোড়ের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত বুধবার দুপুরে আলমনগর মোড় থেকে ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ইউসুফকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই খালিশপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। রাতে বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত বুধবার খালিশপুর থানায় দায়ের হওয়া মাদক মামলায় আসামি ইউসুফ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর বুকে ব্যথা উঠলে খুমেক হাসপাতালের প্রিজন সেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই সেলে মাকসুদ আলম নামে আরও এক আসামি চিকিৎসাধীন ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে মাকসুদ বাথরুমে যাওয়ার কথা জানায়। এ সময় সেখানে উপস্থিত পুলিশ কনস্টেবল রাব্বি আলী সেলের তালা খুলে তাকে বাথরুমে নিয়ে যান। তবে পুলিশ কনস্টেবল দরজার তালাটি বন্ধ করতে ভুলে যান। পরবর্তী সময়ে বাথরুম থেকে মাকসুদকে ফেরত নিয়ে এসে দেখেন অপর আসামি ইউসুফ সেলে নেই। সেখান থেকে সে পালিয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতাল এলাকায় ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়।

খালিশপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বুকে ব্যথার কারণে তাকে জরুরি বিভাগে দেখানো হলে চিকিৎসক তার রোগ শনাক্ত করতে পারেননি। ইউসুফ একেক সময় একেক রকম কথা বলছিল। তখন চিকিৎসকের নির্দেশে তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ৯টায় প্রিজন সেলে রেখে জিডি করে আমি চলে আসি।’

প্রিজন সেলের ইনচার্জ এসআই শামীম রেজা বলেন, ‘প্রিজন সেলে দুজন আসামি ছিল। তাদের মধ্যে বয়স্ক আসামি রাত সাড়ে ৩টায় বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন জানান। তখন দায়িত্বরত কনস্টেবল রাব্বি আলী তার জন্য প্রিজন সেলের দরজার তালা খুলে দেন এবং তাকে বাথরুমে নিয়ে যান। কিন্তু ভুল করে দরজার তালাটি পুনরায় বন্ধ করতে ভুলে যান। বাথরুম শেষে ফেরত আসার পর দেখা যায় ইউসুফ নেই। বাইরের কারারক্ষীদের যে গেট, সেটিরও তালা খোলা থাকায় সে পালিয়ে যায়।’

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আবু তালেব জানান, প্রিজন সেলের ভেতরে নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের। বাইরের প্রধান ফটকে নিরাপত্তায় থাকেন কারারক্ষীরা। দুই পক্ষের গাফিলতি ছিল। বর্তমানে ওই আসামিকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় দায়িত্বরতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খুলনার জেল সুপার নাসির উদ্দিন প্রধান বলেন, তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।