শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৫, ১২:১১ এএম

নতুন পরিস্থিতিতে অস্তিত্বসংকটে পড়েছে হিন্দু সম্প্রদায় - পূজা উদযাপন পরিষদ

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৫, ১২:১১ এএম

নতুন পরিস্থিতিতে অস্তিত্বসংকটে পড়েছে হিন্দু সম্প্রদায় - পূজা উদযাপন পরিষদ

নতুন পরিস্থিতিতে অস্তিত্বসংকটে পড়েছে হিন্দু সম্প্রদায় বলে জানিয়েছে পূজা উদযাপন পরিষদ। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ঘোষিত হয়েছে, বিরাজিত পরিস্থিতি তা ধারণে ব্যর্থ হচ্ছে। অব্যাহত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসে বিপর্যস্ত ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায় এ নতুন পরিস্থিতিতে অস্তিত্বসংকটে পড়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে আয়োজিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর। সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পরিষদের উপদেষ্টা কাজল দেবনাথ ও অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, পরিষদের সহসভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, পূজা কমিটির সহসভাপতি বাবুল দেবনাথ ও শ্যামল কুমার রায়, যুগ্ম সম্পাদক শুভাশীষ কুমার বিশ্বাস (সাধন), ব্রজগোপাল দেবনাথ প্রমুখ।

সভায় লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার, সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক দল ও ছাত্র নেতাদের আন্তরিক চেষ্টায় গত কয়েক মাসে সাম্প্রদায়িক হামলার তীব্রতা কমে এলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি, এখনো তা চলছে। তবে এখন যেটা ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তা হলো নীরব চাঁদাবাজি। যার মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, নির্ধারিত অর্থ না দিলে তাদের বাড়িঘর, জায়গা-জমি থাকবে না। দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিন্দু শিক্ষকদের হুমকি দিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। ফলে এক উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ এভাবে চলতে পারে না। আমরা অবিলম্বে এ পরিস্থিতির অবসান দাবি করছি।

আরও বলা হয়, ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার কথিত ও পরিকল্পিত অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অতি সম্প্রতি লালমনিরহাট ও রংপুরের গঙ্গাচড়ার ঘটনা ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের এই নতুন কৌশল গভীর শঙ্কা ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। কেউ যদি ধর্ম অবমাননা করে, আমরা তার বিচার ও যথোপযুক্ত শাস্তি দাবি করি। কিন্তু এর আগে নিশ্চিত হতে হবে, কাজটি সত্যিই তিনি করেছেন কি না। দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, নিশ্চিত হওয়ার আগেই ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে নির্বিচারে পাড়ার পর পাড়ায় হামলা চালানো হচ্ছে, লুটপাট-অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন প্রকাশ্যে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত বছরের ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে এসেছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা সেদিন ঘোষণা করেছিলেন, বাংলাদেশকে তিনি ‘এক পরিবার’ হিসেবে দেখতে চান। আমরা এ ঘোষণায় নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে পাই।

কিন্তু পরবর্তী সময়ে আমরা অত্যন্ত বেদনার্ত চিত্তে লক্ষ্য করেছি, সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে। সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত প্রায় এক ডজন কমিশনের মধ্যে দুটিতে মাত্র দুজন সংখ্যালঘু সদস্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। সংবিধান সংস্কারসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিশনে সংখ্যালঘুদের কোনো অবস্থান নেই। সংখ্যালঘুদের কথা শুনতে চাওয়া হয়নি। এই প্রবণতা এক পরিবারের ধারণার সঙ্গে যায় না। যে নতুন বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্র ও সমাজ থেকে সব বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে। 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!