বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগ আমলে যাদের প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, আগামী নির্বাচনে তাদের বাদ দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস নির্বাচন কমিশনের প্রতি, তারা এসব বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে। গতকাল সোমবার শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে ১৬ হাজার ৩৯৯ জন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ হচ্ছে আওয়ামী লীগের খাস, তাদের দলীয় লোকজন। এরা যদি পোলিং অফিসার হয়, প্রিসাইডিং আফিসার হয়, তাহলে কি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে? হবে না। তিনি আরও বলেন, এরা তো গায়ের জোরে নিয়োগ পেয়েছে। এরা কোনো মেধার প্রতিযোগিতা না করে নিয়োগ পেয়েছে; একমাত্র তাদের ক্রাইটেরিয়া ছিল উত্তীর্ণ হওয়ার, চাকরি পাওয়ারÑ সে ছাত্রলীগ করে কি না। সে যুবলীগ করে কি না। সে আওয়ামী লীগ করে কি না। এভাবেই তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) প্রশাসন সাজিয়েছে। এদের প্রশাসন থেকে ক্লিন করতে হবে, ভোটের প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিতে হবে।’
রিজভী বলেন, ‘আমরা চাই না বিএনপির লোকজনকে বেছে বেছে দিতে হবে; তা না। আমরা চাই, যারা নিরপেক্ষ, যারা কোনো দিকে বায়াসড নাÑ এরকম ব্যক্তিদের পোলিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার করা উচিত। কারণ ১৫-১৬ বছরের প্রশাসন ছিল, পুলিশ প্রশাসন ছিলÑ এগুলো সব ছিল আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী। এই ক্যাডার বাহিনী দিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস নির্বাচন কমিশনের প্রতি, তারা এসব বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে; যাতে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দসই ব্যক্তিকে ভোট দিতে পারে।’ একই সঙ্গে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান রেখে রিজভী বলেন, ‘এখন নানা কায়দায় দোসররা ঘাপটি মেরে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে দেশে নাশকতার চেষ্টা করছে। তাদের আবার মিলিটারি ট্রেনিং দেওয়ানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। আপনারা দেখেছেন, এর মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাহলে তারা আরও কত ধরনের কাজ করছে! সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
সাবেক সাংসদ শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের নেতৃত্বে নীলফামারী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির (আহ্বায়ক মীর সেলিম ফারুক ও সদস্যসচিব এএইচ এম সাইফুল্লাহ রুবেল) নেতাদের নিয়ে দুপুরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন রিজভী। এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও আমিনুল ইসলাম।