ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫

ঢাকার বাইরে  মব জাস্টিস এখনো চলছে  - বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০১:৪৪ এএম

ঢাকার আশপাশে মব জাস্টিস কমলেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখনো মব জাস্টিস চলছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। গতকাল সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১২তম সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। সভায় জুলাই হত্যাকা-ের মামলা রেকর্ড, সারা দেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি, মব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, ছিনতাই-চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মব জাস্টিস কীভাবে কমিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি বলব না যে মব জাস্টিস এলিমিনেট (বন্ধ) হয়ে গেছে। এখনো মব হচ্ছে, যেমন কিছুদিন আগে রংপুরে একটা মব জাস্টিস হয়েছে। ঢাকাতে মব জাস্টিস কমেছে। কিন্তু আশপাশ এলাকায় মব জাস্টিস হয়েই যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি যতটা কমিয়ে আনা যায়।

এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিশেষ প্রশিক্ষণ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন বাহিনীতে ২৭ হাজারের বেশি সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে পুলিশে ১৫ হাজার ৮৫১, বিজিবিতে চার হাজার ৪৬৯, আনসারে পাঁচ হাজার ৫৫১, ফায়ার সার্ভিসে ২০৮, কারা অধিদপ্তরে এক হাজার ৫৫৮ জন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ পদ সৃজন হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও জানান, তবে কিছু শূন্য পদেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই সদস্যরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভূমিকা রাখতে পারবেন।

১৫ আগস্ট ঘিরে ফুল দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল কি নাÑ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফুল দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল কি না আমি জানি না। কিন্তু আমাদের নির্দেশনা ছিল কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা।

মাইটিভির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় বাদী বলেছেন এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা নেই। তবুও কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছেÑ এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে কোর্টকে জিজ্ঞাসা করেন। পুলিশের অ্যারেস্ট করা অবৈধ হলে কোর্ট তাকে ছেড়ে দেবে। কোর্ট কারো কথা শোনে না। তারা স্বাধীন।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমরা চাই সাধারণ জনগণ বা নির্দোষ জনগণ কোনোভাবেই যেন হয়রানির শিকার না হয়। যে দোষী সে কোনো অবস্থায়ই ছাড়া পাবে না। আমরা সবসময় চুনোপুঁটিগুলো ধরি। বড় রুই মাছ সবসময় ছাড়া পেয়ে যায়। বড় একটা ধরা পড়েছে, এখন আপনারা সবাই লেগে গেছেন। চুনোপুঁটি সম্পর্কে কিন্তু কেউ কিছু বলছেন না। সুতরাং নির্দোষ এমন কেউ, হোক ছোটখাটো, ধরা হলে সে সম্পর্কে আপনারা বলেন। আপনারা সবসময় সত্য ঘটনা বলে থাকেন, আপনাদের ধন্যবাদ।