ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫

কেরানীগঞ্জে সৎছেলে হত্যা  মামলায় পিতা ও ভাঙ্গায় বস্তাবন্দি  লাশের ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০১:৪৮ এএম

কেরানীগঞ্জ ও ফরিদপুরের আলোচিত দুটি হত্যাকা-ের প্রধান আসামিকে দ্রুততম সময়ে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০। কেরানীগঞ্জে সৎপুত্র হত্যার ঘটনায় ঘাতক পিতা আজহারুল সরদার এবং ভাঙ্গায় বস্তাবন্দি লাশের ঘটনায় প্রধান আসামি জহুরুল মুন্সী ওরফে সুলতান জহির র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১০-এর অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এ তথ্য জানান।

কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া নাজিরেরবাগ এলাকায় তফুরা খাতুন ও তার ছেলে রাকিবুল সরদার বসবাস করতেন। তফুরার প্রথম স্বামী খায়রুল সরদার মৃত্যুর পর তিনি আজহারুল সরদারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর নির্যাতনের শিকার হয়ে তফুরা আদালতের মাধ্যমে আজহারুলকে অনুমান ৩-৪ মাস আগে তালাক দেন। এর পর থেকে আজহারুল নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

গত ১৪ আগস্ট সকাল ৯টায় রাকিবুল কাজের জন্য বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরদিন মা তফুরা খাতুন ছেলে খুঁজতে গিয়ে জানতে পারেন যে রাকিবুল তার সঙ্গে নেই। কিছুদিন খোঁজাখুঁজির পর ১৬ আগস্ট সকালে রাকিবুলের মৃতদেহ আজহারুলের ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। মামলাটি দায়ের করা হয় ১৭ আগস্ট।

র‌্যাব-১০-এর অধিনায়ক বলেন, গোপন তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে খুলনার হরিণটানা থানাধীন জিরো পয়েন্ট মোড়ে অভিযান পরিচালনা করে আজহারুল সরদারকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১০-এর টিম।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজহারুল স্বীকার করে যে, ১৪ আগস্ট রাতে সে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধে রাকিবুলকে হত্যা করেছে এবং মরদেহ গুমের চেষ্টা করেছে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানাধীন চারালদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. রেদুয়ান ১৩ আগস্ট বিকেলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন ১৪ আগস্ট বিকেলে তার মৃতদেহ একটি বিলে ভেসে থাকতে দেখা যায়। হত্যাকা-ের প্রধান আসামি জহুরুল মুন্সী ওরফে সুলতান জহিরকে (২৫) র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন। অভিযানে আসামির বাড়ি থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাকু, রক্তমাখা জামাকাপড়, মানিব্যাগ, মোবাইলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
##