প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাংকিং খাতে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দেশের মাত্র ১৭ থেকে ২০টি ব্যাংকের সাইবার স্পেস রেটিং সন্তোষজনক। জনগণের ডেটা অনেক ক্ষেত্রে অনিরাপদভাবে উন্মুক্ত থাকে এবং কিছু ব্যাংক কর্মকর্তা সাইবার অপরাধের সাথেও জড়িত’।
ঢাকার হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি এবং ইডিজিই প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, ‘আর্থিক অপরাধ, জুয়া, সফটওয়্যার আপডেটের ঘাটতি, ফাইল ট্রান্সফার প্রটোকলের দুর্বলতা, ডিডস আক্রমণ এবং ডেটা সেন্টারের ঝুঁকি এখন ব্যাংকিং সেক্টরের বড় হুমকি’।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘বিদ্যমান সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে হবে’।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে প্রশিক্ষণ জোরদার এবং আইটি ও ব্যাবসায়িক ইউনিটের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান ব্যাংকের সঙ্গে ডেটা বিনিময়ের মাধ্যমে কর আদায় সহজ করার প্রস্তাব করেন। সিআইডি প্রধান মো. ছিবগাত উল্লাহ জানান, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ৮৮৪টি সাইবার অপরাধের অভিযোগ এসেছে এবং ব্যাংকগুলোর মামলা করতে অনীহা তদন্তে বাধা তৈরি করছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, সিটি ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিনিধিরা প্রযুক্তিগত জটিলতা সমাধানে করণীয় বিষয়ে মতামত উপস্থাপন করেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন