- ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে
- ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে শূন্য পদ ছিল ৮ হাজার ৪৩টি
- নতুন বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা পদ সৃষ্টি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি শিগগির প্রকাশ করা হতে পারে। এর অংশ হিসেবে আট সদস্যবিশিষ্ট নিয়োগ কমিটি গঠন করেছে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কবে নাগাদ শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে, এমন প্রশ্নে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানান, আশা করছি, শিগগির সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে।
গতকাল রোববার প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রেবেকা সুলতানা স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে নিয়োগ কমিটি গঠনের তথ্য জানা যায়। অফিস আদেশ বলছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০২৫ অনুযায়ী নিয়োগ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আর কমিটির সদস্য সচিব প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন)। এর বাইরে কমিটিতে আছেন প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়), প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রাজস্ব), উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক, প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিদ্যালয়), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং সরকারি কর্ম কমিশনের প্রতিনিধি।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট রাতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিধিমালার তথ্য বলছে, সহকারী শিক্ষকের ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের দ্বারা এবং ৮০ শতাংশ পদ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের দ্বারা পূরণ করা হবে। বাকি ৭ শতাংশ কোটার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য ১ শতাংশ এবং ১ শতাংশ থাকবে শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য। তবে কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাক্রম অনুযায়ী এসব পদ পূরণ করা হবে। প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে ন্যূনতম স্নাতক।
নতুন বিধিমালায় সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) পদও সৃষ্টি করা হয়েছে। সরাসরি নিয়োগে প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর করা হয়েছে, আগে যা ছিল ৩০ বছর। সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় থাকবে ৯০ নম্বর এবং মৌখিক পরীক্ষায় ১০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় বাংলায় থাকবে ২৫, ইংরেজিতে ২৫, গণিত ও দৈনন্দিন বিজ্ঞানে ২০ এবং সাধারণ জ্ঞানে (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) ২০ নম্বর। উভয় পরীক্ষায় সর্বনিম্ন পাস নম্বর ৫০ শতাংশ।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের নিয়োগযোগ্য শূন্য পদের সংখ্যা ৮ হাজার ৪৩টি। তবে বর্তমানে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত কত পদ শূন্য রয়েছে, সেই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সংগীত, শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকের জন্য ৫ হাজার ১৬৬টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এসব পদে নিয়োগের জন্য আগামী মাসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন