ঢাকা সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

দাবি সারজিসের

সিভিল সোসাইটি বিএনপিকে  আ.লীগ বানাতে চায় 

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ০৫:২৫ এএম
বিএনপি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের বরাত দিয়ে দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম দাবি করেছেন, বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটির ভূমিকা পর্যালোচনা না করে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী ও গণহত্যাকারী হয়ে ওঠার ইতিহাস বোঝা সম্ভব হবে না। একই সিভিল সোসাইটি এখন বিএনপির ঘাড়ে ভর করছে। তারা বিএনপিকে আরেকটা আওয়ামী লীগ বানাতে চায়। গতকাল রোববার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা লেখেন। এনসিপি নেতা সারজিস আলম তার পোস্টে সারোয়ার তুষারকে ট্যাগ করে তার বক্তব্য তুলে ধরেন।

পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, ১/১১-র সময় বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে গুরুতরভাবে আহত করে, তার মেরুদ- ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। তার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছিল তিনি আর রাজনীতি করবেন না। কাজটা শুরু হয়েছিল তাকে দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত করে তার ক্রেডিবিলিটি নাই করে দেওয়ার মাধ্যমে। তখন আমাদের মহান সিভিল সোসাইটি কিন্তু এর প্রতিবাদ করেনি। উল্টো সিভিল সোসাইটির স্টারদের মধ্যে কেউ কেউ কী লিখেছিলেন জানেন? আমি অত্যাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে কোনো যদি-কিন্তু নাই। তবে কেন জানি তারেক জিয়ার আহত ও ব্যথাতুর চেহারা আমার মধ্যে কোনো ভাবাবেগ তৈরি করে না।

আমি নির্যাতনের বিরোধী। কোনোকিছুই নির্যাতনকে সমর্থন করে না। এটি আমার নীতিগত অবস্থান, এখানে কোনো যদি বা কিন্তু নেই। কিন্তু আমি যখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের একটি সাম্প্রতিক ছবি দেখি, যেখানে তার মুখ যন্ত্রণাদায়ক দেখা যাচ্ছে, তখন কোনো সহানুভূতি বা মমতা অনুভব করি না? কেন আমি তার কষ্ট নিয়ে নিজেকে ভাবতে দেই না? কেন আমি তা মন থেকে সরিয়ে দেই, অন্য খবরে মন দেই বা পত্রিকার পাতা উল্টাই? 

পোস্টে তিনি আরও লেখেন, তখন তারেক জিয়ার কোনো মানবাধিকার ছিল না। নির্যাতন করে তার মাজা ভেঙে দেওয়াটা ছিল জাস্টিফাইড। সেই সিভিল সোসাইটিকেই এখন দেখি তারা মহা বিএনপিপ্রেমী। এর মানে কি এই যে, তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে থিসিস পরিবর্তন করেছে? না, মোটেও না। তাদের চিন্তা, মাইন্ডসেট, মতাদর্শিক এলাইনমেন্ট আগের মতোই আছে। আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে তারা স্রেফ চায়Ñ তাদের অনুমিত ও চর্চিত প্রগতিশীলতার ঝা-া বিএনপি বহন করুক। মনে রাখবেন বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটির ভূমিকা পর্যালোচনা না করে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী ও গণহত্যাকারী হয়ে ওঠার ইতিহাস বোঝা সম্ভব হবে না।

ওই একই সিভিল সোসাইটি এখন বিএনপির ঘাড়ে ভর করছে। তারা বিএনপিকে আরেকটা আওয়ামী লীগ বানাতে চায়। ‘ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতেসে যেন। তখন তারেক জিয়া ও বিএনপির চরিত্র হনন করা হইছিল। এখন ছাত্রনেতা, তরুণ রাজনৈতিক নেতাদের ডিল্যাজিটিমাইজ করা হচ্ছে। তাদের ওপর যখন অত্যাচারের স্টিম রোলার চালানো হবে দেখবেন এই সিভিল সোসাইটি তখন মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকবে। কিন্তু গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের কোনো আসামিকে আদালত প্রাঙ্গণে সামান্য ডিম ছুঁড়ে মারলে একযোগে মানবাধিকারের হাহাকার শুরু হয়ে যায়/যাবে। জি, এটাই সায়েন্স।’