জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সাক্ষী ছিলেন সদ্যপ্রয়াত লেখক, গবেষক বদরুদ্দীন উমর। গতকাল রোববার সকালে ৯৪ বছর বয়সে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, বদরুদ্দীন উমর একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন। তিনি ট্রাইব্যুনালে এসে জবানবন্দি না দিলেও, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আসামি। এখন পর্যন্ত এ মামলায় মোট ৩৬ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। এর মধ্যে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার ২ নম্বর সাক্ষী বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপক্ষ (প্রসিকিউশন) ক্ষতিগ্রস্ত হলো কি না; এমন প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার বলেন, বদরুদ্দীন উমর একজন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন। তিনি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে এরই মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে তিনি ট্রাইব্যুনালে এসে জবানবন্দি দেননি।
প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের বিধান অনুযায়ী, কোনো সাক্ষী যদি তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দেওয়ার পর বিচার চলাকালীন মারা যান, তবে প্রসিকিউশনের আবেদনের ভিত্তিতে সেই সাক্ষ্য ট্রাইব্যুনাল গ্রহণ করতে পারে। আইনের এই সুযোগ থাকলেও, প্রসিকিউশন এখনো বদরুদ্দীন উমরের সাক্ষ্য এভাবে ব্যবহার করার বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।