পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বিপিএম বলেছেন, আসন্ন দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদে উদযাপিত হবে। পূজাম-পগুলোর নিরাপত্তায় পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকবে। গতকাল বুধবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৫ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রাক-পূজা, পূজা চলাকালে, প্রতিমা বিসর্জন এবং পূজা-পরবর্তী সময় মিলিয়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পূজাকেন্দ্রিক নিরাপত্তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবারের দুর্গাপূজা উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে নির্বিঘেœ সম্পন্ন হবে। এ জন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, এসবি প্রধান মো. গোলাম রসুল, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা, অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, এটিইউর অতিরিক্ত আইজি মো. রেজাউল করিম, নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত আইজি কুসুম দেওয়ান, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো. মাইনুল হাসান, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন মজুমদার, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল রোজারিও ও সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস, এন, তরুণ দে, শ্রী শ্রী রমনা কালী মন্দির ও আনন্দময়ী আশ্রমের আহ্বায়ক তপন কুমার বসু, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মৃণাল কান্তি বৈষ্ণব ও যুগ্ম আহ্বায়ক অলোক বসু, রমনা কালী মন্দিরের সদস্য সচিব মিনি কুমার দাস (অদিত), হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলার পুলিশ সুপার ও নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপারগণ ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, দুর্গাপূজা কেন্দ্র করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়। প্রতিটি পূজাম-পে সিসিটিভি সক্রিয় রাখা এবং স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পরামর্শ দেন পূজা উদযাপন পরিষদ নেতাদের প্রতি।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের ৩১ হাজার ৫৬৬টি পূজাম-পে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।