গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ১৮ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজে এবং পরবর্তীতে বেসরকারি মেডিকেলে চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসা এবং পরামর্শের জন্য আজ সোমবার সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন। গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আবু হানিফ বলেন, ‘নুরুল হক নুরের অনিচ্ছা সত্ত্বেও চিকিৎসকের পরামর্শে তার পরিবার ও দলীয় সিদ্ধান্তে তাকে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। দেশবাসীর কাছে তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করছি।’
তিনি বলেন, ‘দেরিতে হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তার জন্য আমরা সরকারকে সাধুবাদ জানাই। তবে একই সঙ্গে বর্বরোচিত এ হামলার ২৪ দিন অতিক্রম হলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সরকারের গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় দলের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করছি। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামের সুপরিচিত একজন রাজনৈতিক নেতা ও দলীয় প্রধানের ওপর আক্রমণ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তথা দেশের গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত। তাই অনতিবিলম্বে বর্বরোচিত এ হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে গণঅধিকার পরিষদ। অন্যথায় দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী জনতাকে সঙ্গে নিয়ে গণঅধিকার পরিষদ রাজপথে কঠোর কর্মসূচি দেবে।’
গত ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅধিকার পরিষদ ও জাপা নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিচার্জে নুরসহ আহত হন বেশ কয়েকজন। ঘটনার দিনই তাকে হাসপাতালে আনা হলে জরুরি ভিত্তিতে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এরপর আরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয় এবং তাদের তত্ত্বাবধানে নুরুল হক নুরের চিকিৎসা চলতে থাকে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন