কমতে কমতে দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা শতকের নিচে। এরই মধ্যে বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্স বন্ধ হয়েছে। একই পথে দেশের প্রথম সিনেপ্লেক্স লায়ন সিনেমাস। দেশের বৃহত্তম প্রেক্ষাগৃহ মণিহারও বন্ধ হচ্ছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে দিনাজপুরের মডার্ন সিনেমা হলটি। লোকসানের বোঝা টানতে টানতে ক্লান্ত কর্ণধার এসএম পারভেজ। আর রাখতে চাইছেন না ৬৮ বছরের পুরোনো হলটি। বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এ তথ্য নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ঈদের পর থেকে পুরোনো সিনেমাগুলো চালানো হচ্ছে। কিন্তু সেসব সিনেমা ঘিরে দর্শকদের আগ্রহ নেই। নতুন সিনেমা যা হচ্ছে সেগুলোও দর্শক টানতে পারে না। সকালে শোতে নামেমাত্র কয়েকজন দর্শক হয়। বাকি শোগুলো দর্শকের অভাবে বন্ধ রাখতে হয়। কোনোদিন সারাদিনই বন্ধ থাকে।’
হলটিতে বর্তমানে চার-পাঁচজন কর্মরত আছেন বলে জানালেন। তাদেরও করতে হচ্ছে মানবেতর জীবনযাপন। এ রকম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা যারা এখানে কাজ করছি তারা কষ্টে চলছি। কারণ হল থেকে তো খরচ ওঠে না। মালিকের অন্য ব্যবসা আছে সেখান থেকে ভর্তুকি দিয়ে চালাচ্ছেন। সিনেমা চলে না দেখে তিনিও হলটি রাখতে বা নতুন করে ভাবতে আগ্রহী নন। পৈতৃক সম্পত্তি বলে এতদিন চালিয়েছেন। এবার বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় মডার্ন সিনেমা হল। একসময় দিনাজপুরে ২০টি সিনেমা হল ছিল। একে একে সব বন্ধ হয়ে গেছে। ধুঁকে ধুঁকে টিকে আছে মডার্ন সিনেমা হল। সিনেমার অভাব ও বিক্রির সিদ্ধান্ত শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে সেটিরও ভবিষ্যৎ।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন