প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বন্দুকধারীর হামলায় নিহত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা। প্রধান উপদেষ্টা পরিবারটির প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় গত সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হোটেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দিদারুলের পরিবারের সদস্যরা। এ সময় দিদারুলের প্রতি সম্মাননাস্বরূপ পরিবারের সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।
সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন দিদারুলের বাবা মোহাম্মদ আবদুর রব, মা মিনারা বেগম, দুই ছেলে আয়হান ইসলাম ও আজহান ইসলাম, ভাই কামরুল হাসান, ভাইয়ের ছেলে আদিয়ান হাসান, বোন নাদিমা বেগম ও চাচা আহমেদ জামাল উদ্দিন। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পত্রিকায় ঘটনাটি পড়েছি। পড়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। বুঝতে পারছিলাম না, কীভাবে হলো। টিভিতে দেখেছি, নিউইয়র্কে তার (দিদারুল) শেষ বিদায়ে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছিল। বহু মানুষের শোক-শ্রদ্ধা-ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। নিউইয়র্কে আসার পরিকল্পনার মধ্যেই আমাদের মনে হয়েছে, অবশ্যই আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে হবে।’
পরিবারটির সদস্যরা জানান, দিদারুল নিউইয়র্ক পুলিশের একজন দায়িত্বশীল ও প্রশংসিত কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ২০২১ সালে পুলিশ বিভাগে যোগ দেন। ব্রঙ্কসের ৪৭ নম্বর প্রিসিঙ্কটে তিনি কর্মরত ছিলেন। গত ২৮ জুলাই নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের পার্ক অ্যাভিনিউয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন দিদারুল। বন্দুকধারী এক তরুণ সে দিন বহুতল করপোরেট ভবনের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালান। পরে নিজেই গুলি করে আত্মহত্যা করেন। সে সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে গুলিতে নিহত হন দিদারুল। দিদারুলের দেহে আট থেকে ১০টি গুলির চিহ্ন ছিল বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন