শনিবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বেনাপোল প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৫, ১২:০১ এএম

বেনাপোল বন্দরে খাদ্যপণ্যের  বাণিজ্য ঘাটতি ৭৩ হাজার  ২০০ টন

বেনাপোল প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৫, ১২:০১ এএম

বেনাপোল বন্দরে খাদ্যপণ্যের  বাণিজ্য ঘাটতি ৭৩ হাজার  ২০০ টন

২০২৪-২৫ অর্থবছরে তার আগের বছরের চেয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি বাড়লেও কমেছে গম, ডাল, পেঁয়াজ ও মরিচসহ বেশ কয়েকটি নিত্যপণ্যের আমদানি। এতে গেল অর্থবছর খাদ্যদ্রব্য জাতীয় ভোগ্যপণ্যের বাণিজ্যঘাটতি ৭৩ হাজার ২০০ টন।

বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল, রপ্তানি মূল্যবৃদ্ধি ও নানা শর্তের কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এদিকে ভারতের সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় ৮টি ভোগ্যপণ্য আমদানিতে কোটা চুক্তি ৩ বছরেও বাস্তবায়ন করতে পারেনি সরকার। এতে খাদ্য আমদানিতে ঘাটতি দিন দিন বেড়ে চলেছে। যার প্রভাবে বছরজুড়ে নিত্যপণ্যের বাজার থাকছে চড়া। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ীরা।

বাণিজ্যি সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে প্রতিবছর যে পরিমাণ ভোগ্যপণ্যের চাহিদা রয়েছে, সব পণ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতা না থাকায় আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। আর এসব পণ্যের বড় অংশ আসে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে। তবে নানা কারণ জানিয়ে দেশটি হঠাৎ আমদানি বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা, রপ্তানি মূল্য ও কঠিন শর্ত দেওয়ায় দিন দিন বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে চলেছে। সরবরাহ ঘাটতির কারণ দেখিয়ে দাম বৃদ্ধি করে সুযোগ নিচ্ছে অসৎ ব্যবসায়ীরা। যার খেসারত গুনতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে ২০২২ সালের ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে কোটা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। এতে বার্ষিক ভারতের কাছে গম ৪৫ লাখ টন, চাল ২০ লাখ টন, পেঁয়াজ ৭ লাখ টন, চিনি ১৫ লাখ টন, আদা দেড় লাখ টন, ডাল ৩০ হাজার টন ও ১০ হাজার টন রসুনের অনুরোধ করা হয়। শর্ত অনুযায়ী কোটা পাওয়া গেলে যখন-তখন ভারত এসব পণ্যের রপ্তানি বন্ধ বা মূল্যবৃদ্ধি করতে পারবে না। এতে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেকটা সহনশীল পর্যায়ে ও খাদ্য সংকট কমে আসবে। তবে আজ পর্যন্ত চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় খাদ্যদ্রব্য আমদানিতে প্রতিবছর ঘাটতি বাড়ছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস-বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, ‘সরকার পরিবর্তন স্বাভাবিক। তবে আমরা আশা করব, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনে ভারত সরকার তাদের বাণিজ্যনীতির জায়গায় যেন অটুট থাকে।’

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক আনু জানান, সরকার পরিবর্তন আর আমদানি জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্যঘাটতি বেড়েছে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, ভোগ্যপণ্য আমদানিতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কোটা চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসবে।

বেনাপোল স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি হয় ২১ হাজার ৩৮৪ টন, ডাল ৭৮ হাজার ৯৪৭ টন, পেঁয়াজ ২০০ টন, আদা ৪৩১ টন, মরিচ ৭ হাজার ১৫২ টন, আলু ৪ হাজার ৯৬৩ টন, চিনি ও গম আমদানি হয়নি। অন্যদিকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চাল আমদানি হয়েছে ১ হাজার ১৫০ টন, ডাল ১ হাজার টন, পেঁয়াজ ১৫ হাজার ২৯৫ টন, আদা ৬০ টন, মরিচ ৯ হাজার ৪৪৭ টন, আলু ৩ হাজার ৮৪ টন এবং চিনি ও গম আমদানি হয়নি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানির পরিমাণ ১ লাখ ৮ হাজার ৫৯ টন আর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানি ছিল ৩৪ হাজার ৮৬০ টন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চাইতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভোগ্যপণ্যের আমদানি কমেছে ৭৩ হাজার ১৯৯ টন।

কৃষি অধিদপ্তর সূত্রমতে, বর্তমানে দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ৩২ লাখ টনের বিপরীতে উৎপাদন হয় ২৭ লাখ টন। চাহিদা মেটাতে বাকিটা আমদানি করতে হয়। চালের চাহিদা ৩ কোটি ৬০ লাখ টনের মতো। সেখানে উৎপাদন হয় ৪ কোটি ১৫ লাখ টন। চিনির চাহিদা ১৮ থেকে ২০ লাখ টনের বিপরীতে উৎপাদন মাত্র ১ লাখ টন। গমের চাহিদা ৭০ লাখ টন আর উৎপাদন ১২ লাখ টন। আলুর চাহিদা ৯০ লাখ টন আর গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ১২৯ লাখ টন। আদার চাহিদা ৩ লাখ টন আর উৎপাদন ২ লাখ টনের মতো। রসুনের চাহিদা ৬ লাখ টন আর গত বছর উৎপাদন হয়েছিল ৬ লাখ ৯ হাজার ৯০০ লাখ টন।

বেনাপোল স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক মো. আবু তালহা জানান, ২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানি কমেছে বন্দরে। আমদানি পণ্যর মান পরীক্ষা শেষে বন্দর থেকে খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়। 


 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!