ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২৫

‘জুলাই যোদ্ধা ও শহিদ পরিবারে’র  দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৫, ১১:১২ পিএম

ময়মনসিংহে দৃশ্যমান ফ্যাসিস্টদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং শহিদ ও আহত পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত জুলাই যোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা আমরণ অনশনসহ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। দ্বিতীয় দিনের মতো ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সামনে ফ্যাসিস্টদের গ্রেপ্তার, শহিদ ও আহত পরিবারের নিরাপত্তা দাবিতে এ অনশন চলছে। গত রোববার দুপুর থেকে শুরু হয় আমরণ অনশন। 

অবস্থান কর্মসূচির আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করে শহিদ ও আহত সেল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং বিপ্লবী জুলাই যোদ্ধা ময়মনসিংহ বিভাগ।

বিপ্লবী জুলাই যোদ্ধার ব্যানারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শহিদ ও আহত সেলের ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমন্বয়ক আল নূর আয়াস আমরণ অনশনের ঘোষণা দিলে তাতে যোগ দেন বিভাগের আরও শহিদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিরা। বিভাগের শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলা থেকে শহিদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিরা অনশনে সংহতি জানাতে আসেন। তারা আল নূরের পাশে বসে বিচার দাবিতে স্লেøাগান দিতে থাকে। গতদিন ও রাতভর থেমে থেমে চলা বৃষ্টির মধ্যে শহিদ পরিবারের নারী সদস্যরাও স্বজন হত্যার বিচারে স্লোগান দেন। 

অনশনে যোগ দেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার শালচূড়া গ্রামের শহিদ শাহাদাত হোসাইনের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার। তিনি বলেন, হত্যার ঘটনায় তিনি ঢাকায় ও তার শাশুড়ি শেরপুর আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেন। কিন্তু এখন স্থানীয় এক বিএনপি নেতা মামলা তুলে নিতে তাকে হুমকি দিচ্ছে। মামলায় আওয়ামী লীগের এক নেতা গ্রেপ্তার হলেও শেরপুর আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে গেছে। 

অনশনে বসা আল নূর মোহাম্মদ আয়াস বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো দৃশ্যমান বিচার দেখছি না। বরং প্রশাসনের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের দোসররা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। 

শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চন্দন কুমার পাল গ্রেপ্তার হওয়ার ১৮ দিনের মাথায় জামিনে মুক্তি পেয়ে শহিদ পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছে। তার জামিন হয়েছে মোটা অংকের টাকায়, খুবই গোপনে। এগুলো প্রশাসনের আসকারা ছাড়া কোনোভাবেই হতে পারে না। 

আমরণ অনশনে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেওয়া এনসিপি ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এটিএম মাহবুবুল আলম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও জুলাই যোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, এটি দুঃখজনক। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আমরাও চাই আওয়ামী দোসরদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি জুলাই যোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।