শিক্ষকরা আজীবন বঞ্চনার শিকার। তাদের সম্মান-মর্যাদার কথা বলা হয়। তাদের পেশা মহান বলে বক্তব্য-বিবৃতি দেওয়া হয়। কিন্তু বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধায় তারা সবচেয়ে নি¤œস্তরে। এক মতবিনিময় সভায় এভাবেই অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের শিক্ষকরা। গতকাল সোমবার জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বিশ্ব শিক্ষক দিবস-২০২৫ ও সরকারি সাত কলেজ শিক্ষা ক্যাডারের স্বার্থ সংরক্ষণবিষয়ক এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক তামান্না বেগম বলেন, যারা বিসিএসের মাধ্যমে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন, তাদের অনেকে ১২ বছরেও পদোন্নতি পান না। আমরা রাষ্ট্রের কাঠামোয় ‘ক্যাডার’ হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও মর্যাদা বা সুযোগের দিক থেকে বঞ্চিত। অবসরের (পিআরএল) সময় শিক্ষকরা অর্ধেক বেতন পান এই বিষয়টি অনেকেরই জানা নেই। ভেবেছিলাম জীবনের শেষ সময়টা শান্তিতে কাটাব, কিন্তু দেখা গেল সেই আনন্দটুকুও আমাদের ভাগ্যে নেই।
রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, শিক্ষকের কিছুই লাগবে নাÑ এমন ধারণা শিক্ষকতা পেশার সবচেয়ে বড় শত্রু।
তিনি আরও বলেন, প্রাইমারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার। একজন প্রাথমিক শিক্ষক, একজন প্রাইভেট টিউটর কিংবা একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকÑ সবাই শিক্ষক। কিন্তু বিসিএস শিক্ষক হলে কেন তাকে আলাদা করে দেখা হয়, আমাদের মর্যাদা কোথায়।
সাত কলেজের বিষয়ে অধ্যক্ষ কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন, শিক্ষকরা যে দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন, তা বিকৃতভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। আমাদের সন্তানদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেলের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্যসচিব ড. মো. মাসুদ রানা খানের সঞ্চালনায় সভায় দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, অধ্যাপকসহ শিক্ষা ক্যাডারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।