কওমি মাদ্রাসার দাওরা হাদিস সনদধারীদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। গতকাল সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টা এ তথ্য জানান। এ ছাড়া প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগে হেফাজত ইসলামের দাবির বিষয়টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করছে বলেও জানান উপদেষ্টা।
প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায়। তবে তারা (হেফাজতের নেতারা) যে দাবি করছেন, আমি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাকে বলেছি, এটা নিয়ে আপনার বসা দরকার। যেহেতু হেফাজত ইসলামসহ আলেম-ওলামাদের পক্ষ থেকে আপত্তি আছে সংগীত সাবজেক্ট হিসেবে ইনক্লুড করার। তিনি (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা) আমাকে বলেন, ধর্মীয় শিক্ষক নামে আমাদের কোনো পোস্ট আগে ছিল না। সহকারী শিক্ষকরাই বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সমাজ ও ধর্ম এগুলো পড়াতেন।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি তাকে একটা ডিও লেটার (আধা-সরকারি পত্র) দিয়েছিলাম দায়িত্ব নেওয়ার ৬-৭ মাসের মধ্যে। আমি বলেছি, যেসব কওমি মাদ্রাসার ছাত্রের দাওরা হাদিসের সনদ আছে, যেটা বিগত সরকার এমএ অ্যারাবিক এবং এমএ ইসলামিক স্টাডিজের সমমর্যাদা দিয়েছিল। আপনি তাদের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হিসেবে নিলে তারা ধর্ম, বাংলা এগুলো খুব ভালো করে পড়াতে পারবেন।’ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে ধর্ম উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন।