ঢাকা বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

৪৫৪ ফরেস্টারের পদোন্নতিতে বনে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ১২:৪৪ এএম

দুই দশকের অপেক্ষার পর অবশেষে বন অধিদপ্তরের ৪৫৪ জন ফরেস্টারকে ডেপুটি রেঞ্জার পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এ পদোন্নতি প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন স্থবির থাকা প্রশাসনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করেছে এবং মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা, কর্মচাঞ্চল্য ও প্রাপ্য মর্যাদা ফিরিয়ে এনেছে।

বাংলাদেশ ফরেস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএ) এবং বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বনবিদ পরিষদ এই পদোন্নতিকে বন প্রশাসনে যুগান্তকারী সাফল্য হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে। সংগঠনগুলো একযোগে উল্লেখ করেছে, ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, সচিব ও প্রধান বন সংরক্ষক মহোদয়ের দৃঢ় নেতৃত্ব ও দূরদর্শী পদক্ষেপের ফলে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই পদোন্নতি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।’

বিএফএ জানিয়েছে, পদোন্নতি প্রক্রিয়াটি পাবলিক সার্ভিস রুলস অনুযায়ী গঠিত ডিপিসি কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট সকল সিনিয়র কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয় ও আইনবিষয়ক প্রতিনিধির মতামত নেওয়া হয়েছে। পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে মেধা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও চাকরির মেয়াদের ভিত্তিতে, কোনো ব্যক্তিগত প্রভাব বা পক্ষপাতের কারণে নয়। কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশের কারণে সংগঠনগুলো মন্তব্য করেছে, ‘বন প্রশাসনের ভেতরে দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের অভিযোগ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা একটি গুরুতর ভুল। এটি শুধু কর্মীদের মনোবল ক্ষুণœ করে, দেশের বন ও পরিবেশ রক্ষার প্রচেষ্টাকে অবমূল্যায়ন করে।’ তারা আরও উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন বিলম্বিত পদোন্নতির পেছনে যেসব প্রশাসনিক জটিলতা ছিল, সেগুলো দূর করার জন্য সকল প্রক্রিয়া আইন ও নিয়মের প্রতি সম্পূর্ণ আনুগত্যের সঙ্গে পরিচালিত হয়েছে।

বাংলাদেশ ফরেস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বনবিদ পরিষদ সরকারের এ ধরনের স্বচ্ছ ও ন্যায্য পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে ভবিষ্যতেও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতার মান বজায় রাখা হবে, যাতে বন প্রশাসনের কার্যক্রম আরও গতিশীল ও জনবান্ধব হয়।

বিনা যাচাই-বাছাই ও ভিত্তিহীনভাবে মাঠকর্মীদের সম্মানহানি ও নিন্দা করা সংবাদমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্বের পরিপন্থি। তারা একযোগে সরকারের স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার বন্ধ করার জন্য কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে।

এই পদোন্নতি কেবল এক প্রশাসনিক কার্যক্রম নয়Ñ এটি বন রক্ষার প্রতি রাষ্ট্র ও সরকারের দায়বদ্ধতার প্রতীক, এটি মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোবল, কর্মদক্ষতা ও প্রাপ্য মর্যাদা ফিরিয়ে এনেছে।