ধর্মীয় শিক্ষকসহ আরও কিছু পদে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগ দিতে আধাসরকারি পত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। গত মঙ্গলবার শিক্ষা উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও প্রতিরক্ষা সচিব বরাবর তিনটি আলাদা ডিও লেটার পাঠিয়েছেন তিনি। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারের কাছে চিঠিতে ধর্ম উপদেষ্টা লিখেছেন, ২০১৮ সালেন সেপ্টেম্বরে মহান জাতীয় সংসদে ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’-এর অধীন কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের (তাকমিল) সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রির (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান আইন, ২০১৮ পাস হয় এবং সেদিনই বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় এটি প্রকাশিত হয়। এ আইন প্রণীত হওয়ার পর দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও কওমি অঙ্গনের শিক্ষার্থীরা এ আইনের কোনো সুফল পাচ্ছেন না। এতে আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে এবং কওমি অঙ্গনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।
উপদেষ্টা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (ধর্ম) পদে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সহযোগিতা কামনা করেন। একইভাবে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স প্রদানে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টাকে উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা। পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ধর্মীয় শিক্ষক পদে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রতিরক্ষা সচিব বরাবরও ডিও লেটার দিয়েছেন উপদেষ্টা।
বাংলাদেশে প্রায় ২০ হাজারের বেশি কওমি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব মাদ্রাসা থেকে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী দাওরায়ে হাদিসের (তাকমীল) সনদ লাভ করে থাকেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন