ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫

সাবেক ভূমিমন্ত্রীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট

মেঘনা ব্যাংকের ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার বাজেয়াপ্ত

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২৫, ০১:৩২ এএম

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট তিন ব্যক্তির নামে থাকা মেঘনা ব্যাংকের ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫৫টি শেয়ার অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ সাব্বির ফয়েজের আদালত এ আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রিয়াজ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল বুধবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. জসীম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের উপপরিদর্শক মো. নাফিজুর রহমান আদালতে শেয়ারগুলো অবরুদ্ধ করার জন্য আবেদন করেন।’

সিআইডি জানায়, ব্যাংকের শেয়ার অবরুদ্ধ হওয়া তিন ব্যক্তি হলেনÑ মেঘনা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ইমরানা জামান চৌধুরী, স্টিডফাস্ট ম্যানেজমেন্ট ট্রেডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উৎপল পাল এবং পরিচালক নাসিম উদ্দিন মোহাম্মদ আদিল। এর আগে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের উপপরিদর্শক মো. নাফিজুর রহমান আদালতে শেয়ারগুলো অবরুদ্ধ করার জন্য আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পরস্পর যোগসাজশে চাঁদাবাজি, জালিয়াতি ও সংঘবদ্ধ অপরাধের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বৈধ করার চেষ্টা করেন। এই উদ্দেশ্যে তারা অর্থ বিদেশে পাচার করে পুনরায় দেশে আনেন এবং অবৈধ উৎস গোপন করার জন্য বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে মেঘনা ব্যাংকের ৫৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার কেনেন।

সিআইডি আরও জানায়, অভিযুক্ত মো. আবুল কাসেমের মাধ্যমে মোট ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৫১০ মার্কিন ডলার সিঙ্গাপুর ও দুবাই থেকে বাংলাদেশে আনা হয়। পরবর্তীতে সেই টাকা চেকের মাধ্যমে ইমরানা জামান চৌধুরী ও স্টিডফাস্ট ম্যানেজমেন্ট ট্রেডিং লিমিটেডের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। ওই টাকা দিয়ে মেঘনা ব্যাংকের শেয়ার কেনার জন্য কমিউনিটি ব্যাংকে হিসাব খোলা হয় এবং সেখান থেকে মোট ৫৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

আবেদনের শেষে সিআইডি উল্লেখ করে, মেঘনা ব্যাংকে থাকা তিন অভিযুক্তের শেয়ার অবরুদ্ধ করা না হলে তারা সহজেই শেয়ারগুলো বিক্রি করে টাকা উত্তোলন ও আত্মসাৎ করার চেষ্টা করতে পারেন। তাই মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের নামে থাকা শেয়ারগুলো অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।