দুই ভবনের ফাঁক থেকে ইস্ট ওয়েস্ট শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর আফতাবনগরে অবস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মুশফিক উজ্জামানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ফরাশ উদ্দিন ভবন ও মূল ভবনের মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গা থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ বলছে, ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে তাদের ধারণা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মুশফিক উজ্জামান গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে গিয়েছিলেন। পরে বেলা ৩টা ১০ মিনিটের দিকে ক্লাস থেকে বের হয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরেই কয়েকজন শিক্ষার্থী দুই ভবনের মাঝখানে তার মরদেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানো হয়। তাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত শিক্ষার্থীর চাচা মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় পাই। কীভাবে কী হয়েছে, তা এখনো জানতে পারিনি।’

বাড্ডা থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, খবর পাওয়ার পর পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এটা আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। কারণ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখেছি, ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পড়ে যান। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।’

মুশফিক উজ্জামান মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। বর্তমানে খিলগাঁও এ ব্লক এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন।