ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

অবৈধ সম্পদ

শাজাহান খানের মেয়ে ও শাওনের স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২৫, ১২:৩৪ এএম

নির্ধারিত সময়ে সম্পদের নোটিশ দাখিল না করায় এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খান এবং ভোলা-৩ আসনের সাবেক এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের স্ত্রী ফারজানা চৌধুরীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদক কমিশন থেকে অনুমোদন দেওয়ার পর মামলা করেন অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন জানান, দুদক থেকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ পাওয়া সত্ত্বেও সময়মতো সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খান। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলায় অনুসন্ধান কর্মকর্তা মামলা করার সুপারিশ করেন। অনুমোদন দেওয়া হলে কমিশনের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগে বলা হয়, ঐশী খানের নামে অনুসন্ধানে ১ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ৭৫০ টাকার সম্পদ এবং ১১ লাখ ৪৯ হাজার ২৬৪ টাকার পারিবারিক ব্যয়ের তথ্য পাওয়া যায়। মোট ১ কোটি ৮১ লাখ ৭১ হাজার ৯০৪ টাকার সম্পদের বিপরীতে তার বৈধ আয় পাওয়া যায় মাত্র ১০ লাখ ৫৩ হাজার ৮৯২ টাকা। তার নামে ১ কোটি ৭১ লাখ ১৮ হাজার ৯২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। এ ছাড়া তার নামে বা বেনামে আরও সম্পদ থাকার সম্ভাবনার কথাও অনুসন্ধান টিম প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।

এদিকে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের স্ত্রী ফারজানা চৌধুরীর নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর আগে তাকে  সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, অভিযোগসংশ্লিষ্ট ফারজানা চৌধুরীর নামে ২ কোটি ৯৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৬২ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এই সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ২ কোটি ২৭ লাখ ৭৫ হাজার ৩৯৫ টাকা আর ব্যয় পাওয়া যায় ১ কোটি ৫২ লাখ ৮ হাজার ৫২৬ টাকা। ব্যয় বাদে তার গ্রহণযোগ্য আয় ৭৫ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬৯ টাকা। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ২০ লাখ ৬১ হাজার ৬৯৩ টাকা ছাড়াও নামে ও বেনামে আরও সম্পদ থাকার সম্ভাবনা থাকায় সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির সুপারিশ করে অনুসন্ধান টিম।