পেট্রোবাংলা ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মধ্যে শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বেগবান করতে পৃথক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ সমঝোতার মাধ্যমে গবেষণার স্বার্থে বুয়েট দেশের জন্য গোপনীয় বা সংবেদনশীল কোনো তথ্য ব্যতিরেকে অন্যান্য তথ্য ব্যবহার করতে পারবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার পেট্রোসেন্টারে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান এবং পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পেট্রোবাংলার পক্ষে স্বাক্ষর করেন পেট্রোবাংলার সচিব (ঊর্ধ্বতন মহাব্যবস্থাপক) মো. আমজাদ হোসেন এবং বুয়েটের পক্ষে স্বাক্ষর করেন রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (রাইজ) পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম।
সমঝোতা স্মারকের ফলে বুয়েটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে পেট্রোবাংলার তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে গবেষণা কার্যক্রম ত্বরান্বিত হবে, যা ভবিষ্যতে শিল্প বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ফলে জ্ঞান, প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় পক্ষ লাভবান হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ সময় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান বলেন, এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জনবলের দক্ষতা উন্নয়ন, যৌথ গবেষণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ, সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ আয়োজনের মাধ্যমে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, শিল্পের গবেষণাগার এবং সফটওয়্যার ব্যবহারের সুযোগ, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ড্রিলিং সাইট, সাইসমিক সার্ভে, প্রসেস প্লান্ট, কয়লা খনি পরিদর্শনের সুযোগ, প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণালব্ধ জ্ঞান বাস্তবিক কর্মকা-ে ব্যবহার করা, অনুরূপভাবে শিল্প খাতের বাস্তব অভিজ্ঞতা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যবইয়ের সাথে সমন্বয় সাধন করবে।
বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, বিশ্বব্যাপী জ্ঞান, প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য শিল্প এবং বিশেষজ্ঞদের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক স্থাপন খুবই প্রচলিত একটি বিষয়। এই সম্পর্ক শুধু জ্ঞান, প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে দাতা ও গ্রহীতার সম্পর্ক নয়, বরং পারস্পরিক উন্নয়ন এবং সহযোগিতার অন্যতম পন্থা বলে বিবেচিত। এতে শিল্প খাত এবং গবেষকদের মধ্যে গবেষণা ও পারস্পরিক সম্পর্ক আরও সুসংহত হবে বলে আশা করছি আমরা। এ সময় জানানো হয়, এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের তারিখ থেকে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য কার্যকর হবে। যা ৫ বছর পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী ৫ বছরের জন্য নবায়ন করা যাবে।

