ঢাকা শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫

দাবি জামায়াত আমিরের

কাদের মোল্লা বিচারের নামে নির্মম প্রহসনের শিকার

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৫, ১২:২১ এএম

জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা বিচারের নামে নির্মম প্রহসনের শিকার হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী আব্দুল কাদের মোল্লা শাহাদাতের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ, লেখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক, যিনি দেশ ও জাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। নব্বইয়ের দশকে তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন। ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধে আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

বিবৃতিতে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কলমসৈনিক হিসেবে কাদের মোল্লা তার লেখনীর মাধ্যমে মানুষের বিবেকবোধ জাগ্রত করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ২০১০ সালের ১৩ জুলাই সরকার তাকে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে এবং পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়, পরে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ফাঁসির আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগও তিনি পাননি, এমনকি রিভিউ আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগেই তড়িঘড়ি করে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রাত ১০টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তার রিভিউ আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রায় দেড় বছর পরে প্রকাশিত হয়, যা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে তিনি বিচারের নামে এক নির্মম প্রহসনের শিকার হয়েছেন।