শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


হুমায়ুন আহমেদ নাইম শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৫, ০১:১৮ এএম

পাঠকের চিঠি

অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত হোক

হুমায়ুন আহমেদ নাইম শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৫, ০১:১৮ এএম

অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত হোক

আইন ও বিচারব্যবস্থা একটি রাষ্ট্রের মেরুদ-স্বরূপ। নাগরিকের নিরাপত্তা, অধিকার ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করার জন্যই আইনের অস্তিত্ব। কিন্তু আমাদের দেশে স্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও অপরাধের বিচার হচ্ছে না, বরং তারা বীরদর্পে সমাজে তাদের অপরাধ কার্যক্রম করে বেড়াচ্ছে। সাধারণ মানুষ যখন দেখে সিসিটিভি ফুটেজ, মেডিকেল রিপোর্ট, সাক্ষ্যপ্রমাণ, সবকিছু থাকার পরও অপরাধী শাস্তি পাচ্ছে না, তখন মানুষের মনে আইনের প্রতি আস্থা ভেঙে পড়ে। এভাবে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি গড়ে উঠছে, তা শুধুই অপরাধকে উৎসাহ দিচ্ছে, আর অপরাধীকে শক্তিশালী করে তুলছে।

অপরাধের স্পষ্ট প্রমাণ (সিসিটিভি ফুটেজ, প্রত্যক্ষ প্রমাণ কিংবা মেডিকেল রিপোর্ট) থাকার পরেও বিচার বিভাগ দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোনো অপরাধের বিচার হচ্ছে না। যা অপরাধীদের আরও ভয়ানক করে তুলছে। বাংলাদেশে একটা ঘটনা অন্য ঘটনা দিয়ে চাঁপা পড়ে যায়, আর এভাবে বেঁচে যায় অপরাধীরা।
 

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে গণপিটুনির ঘটনায় অন্তত ৬৭ জন নিহত হয়েছেন এবং ১১৯ জন আহত হয়েছেন। একই সময়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪৭৬ জন নারী ও শিশু, যার মধ্যে ২৯২ জনই ১৮ বছরের কম বয়সি। 
অপরদিকে পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য মতে, ২০২৫ সালের প্রথম চার মাসে দেশে ১ হাজার ২৪৬টি হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ২৯৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ৩০০টি, মার্চে ৩১৬টি এবং এপ্রিলে ৩৩৬টি। একই সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা হয়েছে ৯ হাজার ১০০টি এবং ডাকাতি ও দস্যুতার মামলা হয়েছে ১ হাজার ১৩৯টি।

এই অপরাধের প্রবণতা কমাতে প্রয়োজন বিচার বিভাগের কার্যকরী পদক্ষেপ। দ্রুততার সহিত বিচারকার্য সম্পাদন করা তন্মধ্যে অন্যতম। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পর যদি অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে অনেক অপরাধীই অপরাধ করতে ভয় পাবে। তা ছাড়া, ব্রিটিশ প্রণীত আইনগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন।

ব্রিটিশরা প্রায় ২০০ বছর আগে এই উপমহাদেশের মানুষকে শোষণ করার জন্য আইন প্রণয়ন করেছিল। তাই সেই আইন সংশোধন করে জনকল্যাণমুখী ও ক্রমবর্ধমান সমাজের সঙ্গে মিলিয়ে আইনগুলো সংশোধন করা প্রয়োজন। 

শুধু ভাইরাল হওয়ার অপরাধ নয় সমাজে সংঘটিত প্রতিটি অপরাধের শাস্তি সুনিশ্চিত করতে হবে। দলীয় ট্যাগ ব্যবহার করে অপরাধীকে রক্ষা করা যাবে না। যে অপরাধী তার একমাত্র পরিচয় সে অপরাধী। এ ব্যতীত তার আর কোনো পরিচয় থাকতে পারে না। 

স্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বিচার না হওয়া সমাজে অন্যায়ের জন্ম দেয়, অপরাধীকে উৎসাহিত করে এবং সাধারণ মানুষকে হতাশ করে। তাই দ্রুত, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া আমাদের দেশের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে না। এখনই সময় আইনের গুণগত সংস্কার ও বিচার বিভাগের কার্যকারিতা নিশ্চিত করার, তখনই সমাজে সত্যিকার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!