ঢাকা শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫

যে দশটি সহজ আমলে বিপুল সওয়াব

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৫, ০৬:৪৩ এএম

দৈনন্দিন জীবনে আমলের গুরুত্ব অপরিসীম। শুধু ফরজ আমলগুলো অনেক সময় যথেষ্ট না হতে পারে। তাই নফল ও অন্যান্য আমল করা চাই। কারণ, হাদিসে এসেছে- বান্দার ফরজ আমলে ঘাটতি দেখা দিলে নফল দিয়ে তা পূর্ণ করা হবে।

অধিক উপকারী সহজ কিছু আমল

এক.

দৈনিক একশ’বার সুবহানাল্লাহ পাঠ করা। এতে এক হাজার সওয়াব লেখা হয়। এক হাজার গুনাহ মাফ করা হয়। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪/২০৭৩)।

দুই.

আলহামদুলিল্লাহ আমলের পাল্লাকে ভারী করে দেয় এবং এটি সর্বোত্তম দোয়াও বটে। (তিরমিজি, হাদিস : ৫/৪৬২; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২/১২৪৯; সহিহ আল-জামে : ১/৩৬২)।

তিন. 

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু পাঠ করা এটি সর্বোত্তম জিকির। ‘(তিরমিজি, হাদিস : ৫/৪৬২; ইবনু মাজাহ, হাদিস : ২/১২৪৯; হাকিম, হাকিম, হাদিস : ১/৫০৩)।

চার.

সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার। এই বাক্যগুলো আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়। নবী (সা.) বলেন, ‘পৃথিবীর সব কিছুর চেয়ে আমার নিকট অধিক প্রিয়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪/২০৭২)।

পাঁচ.

দৈনিক একশ’বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি পাঠ করা। এতে সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ (সগিরা) গুনাহ থাকলেও তাকে মাফ করে দেওয়া হবে। (সহিহ আল-বুখারি, হাদিস : ৭/১৬৮; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪/২০৭১)।

ছয়.

এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম এই বাক্যগুলো উচ্চারণে সহজ, আমলের পাল্লায় ভারী, দয়াময় আল্লাহর নিকট প্রিয়। (বুখারি, হাদিস : ৭/১৬৮; মুসলিম, হাদিস : ৪/২০৭২)।

সাত.

‘যে ব্যক্তি একবার সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাতে একটি করে খেজুর গাছ রোপণ করা হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস :  ৫/৫১১; সহিহ আল-জামে, হাদিস : ৫/৫৩১; আল-হাকিম, হাদিস : ১/৫০১,)।

আট.

মহানবী (সা.) বলেন- লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ হচ্ছে জান্নাতের গুপ্তধন সমূহের একটি।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১১/২১৩; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪/২০৭৬)।

নয়.

রাসুল (সা.) বলেন, সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালহু আকবার ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ এই বাক্যগুলো হলো- ‘অবশিষ্ট নেক আমল’। (আহমাদ, হাদিস : ৫১৩; মাজমাউজ জাওয়াইদ, হাদিস : ১/২৯৭)।

দশ.

এক হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দুরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি দশবার রহমত বর্ষণ করবেন।’ রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি সকালে দশবার এবং বিকেলে দশবার দুরুদ পাঠ করবে- সে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন আমার সুপারিশ পাবে।’ (মাজময়াউজ জাওয়াইদ, হাদিস : ১০/১২০; আত-তারগিব ওয়াত তারহিব, হাদিস : ১/২৭৩)।