আরশ খান, বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের এই প্রজন্মের দর্শকপ্রিয় একজন অভিনেতা। অভিনয়ে সুন্দর ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন নিয়েই অভিনয়ের দুনিয়ায় যিনি পা রেখেছিলেন।
যার অভিনয়ের শুরুর দিনকালটা ছিল অনেক কষ্টের অনেক সংগ্রামের। একটু একটু করে আরশ যখন অভিনয় করতে শুরু করেন, কেন যেন মনে হচ্ছিল তার যে স্বপ্ন নিয়ে তিনি অভিনয়ের দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন, তা যেন পূরণ হচ্ছে না। কিন্তু তাতে হতাশ হয়ে যাননি তিনি। কষ্ট করে বুকে স্বপ্ন লালন করেই আরশ এগিয়ে যেতে থাকেন ধৈর্য্য ধরে।
কয়েকটা কাজের পর যখন সুযোগ আসে সকাল আহমেদ’র ‘রাখাল বালিকা’ নাটকে অভিনয় করার। যেন তখনই সৌভাগ্য এসে ধরা দিল। এরপর থেকে আরশের একটার পর একটা ভালো ভালো গল্পের নাটকে নিজেকে ছাড়িয়ে যাবারই চেষ্টা ছিল। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে যাদের নির্দেশনায় তিনি একের পর এক নাটকে অভিনয় করছিলেন। এখনো ঘুরে ফিরে তারাই তাকে নিয়ে নাটক নির্মাণ করছেন।
প্রযোজক পরিচালক যেমন চাননি তাকে রিপ্লেস করতে, আরশও চাননি তাদের রিপ্লেস করতে। নিজের অবস্থান এবং প্রাপ্তি প্রসঙ্গে আরশ খান বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহর কাছে অনেক শুকিরয়া। আমি আমার নিজের অবস্থান নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট। একদিন অভিনেতা হবো, অভিনয়ের দুনিয়ায় কাজ করব- এই স্বপ্নটা ছিল।
যে কারণে শুরুতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে, অনেক শ্রম দিতে হয়েছে। কিন্তু কেন যেন ব্যাটে বলে মিলছিল না। হতাশ না হয়ে আমি আরও উদ্যমী হয়ে এগিয়ে গিয়েছি। আজ যতটকুই আমার অবস্থান, এর নেপথ্যে ডে ওয়ান থেকে আজ অবধি যারা আমার সঙ্গে ছিলেন তাদের প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। তারা আমার পাগলামি মেনে নিয়ে কাজ করেছেন, এখনো তারাই আমার সঙ্গে আছেন। কারণ আমি কোনো স্বার্থের জন্য কখনো কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়াইনি। আমি আমার নিজের কাছে স্বচ্ছ। দর্শকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।