এ প্রজন্মের তবলা বাদক অনির্বাণ সরকার। সুনামগঞ্জ জেলার সুখাইড়ের ওস্তাদ নিখিল সরকার ও সঞ্চয়িতা সরকারের ছেলে তিনি। ছোটবেলা থেকেই অনির্বাণের তবলা বাজানোর শখ। যে কারণে মামা গোপাল দে’র কাছে তার তবলায় হাতেখড়ি হয়। এরপর কাকু মানস দত্ত্ব, প-িত পবিত্র মোহন দে এবং পরবর্তীতে ঢাকায় এসে মিলন ভট্টাচার্য, পল্লব স্যানাল, সবুজ আহমেদের কাছে তবলা প্রশিক্ষণে তালিম নেন। ভারতের মনোজ পা-ে ও বিপ্লব ভট্টাচার্যের কাছেও তিনি তালিম নেন।
পেশাগতভাবে তবলায় তার যাত্রা শুরু ২০০৫ সাল থেকে। অর্থাৎ পেশাগত জীবনে অনির্বাণ দেখতে দেখতে দুই দশক পার করছেন। ঢাকায় পেশাগতভাবে তার তবলা বাজানো শুরু হয়েছিল রথীন্দ্র নাথ রায়, সুবীর নন্দী, অনুপ ভট্টাচার্যের সঙ্গে। এরপর একে একে রফিকুল আলম, অ্যান্ড্রু কিশোর, আবিদা সুলতানা, ফেরদৌস আরা, মনির খানসহ অনেক সিনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে তবলা বাজিয়েছেন তিনি।
২০০২ সাল থেকে সাবিনা ইয়াসমীনের সঙ্গে যন্ত্রশিল্পী হিসেবে অনেক শোতে তবলা বাজিয়েছেন। এই প্রজন্মের প্রায় সব আলোচিত সংগীতশিল্পীর সঙ্গেও তবলা শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন অনির্বাণ। তবে স্বপ্ন রয়েছে তার উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার সঙ্গে কোনো অনুষ্ঠানে তবলা বাজানোর। অনির্বাণ বিশ্বাস করেন একদিন সেই সুযোগও আসবে।
তবলা শিল্পী হিসেবে তিনি এরই মধ্যে দেশের বাইরে দুবাই, কাতার, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, ভারতসহ আরো বেশকিছু দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তবলা শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন। তবে আজ পর্যন্ত কোনো গানের সুর করা হয়ে উঠেনি। ইচ্ছে আছে গানের সুর করার।
অনির্বাণ বলেন, ‘একজন তবলা শিল্পী হিসেবে সবসময়ই ভীষণ গর্ব করি। কারণ একজন তবলা শিল্পী হিসেবে আমি জীবনে যা পেয়েছি, যে প্রাপ্তি আমার তা নিয়ে আমি সত্যিই ভীষণ আনন্দিত ও গর্বিত। আমার কোনোই দুঃখ নেই। এই পেশা আমার জীবনকে সৃমদ্ধ করেছে, সুখে ভরে দিয়েছে। আমি এক জীবনে তবলা শিল্পী হিসেবে ভীষণ সফল।’