উদীয়মান অভিনেত্রী নিশা চৌধুরী, যিনি মঞ্চনাটক থেকে শুরু করে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এবং ছোট পর্দার নাটকে কাজ করে দর্শকের হৃদয় জয় করেছেন। বর্তমানে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তিনি কাজ করেন এবং ভালো গল্প বা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র পেলে তিনি স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
২০১৬ সালে ‘নীলাক্ষণ’ মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে নিশার অভিনয় যাত্রা শুরু হয়। তখন বয়স খুব কম, কিন্তু মায়ের উৎসাহেই থিয়েটারে ভর্তি হন। পরবর্তী সময়ে ‘শিখন্ডি কথা’, ‘মহাভারত’, ‘শৃগাল’, ‘শকুন্তলা’, ‘কবর’, ‘তাপসী তরঙ্গিনী’, ‘নিচু তলার মানুষ’ প্রভৃতি মঞ্চ নাটকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন। মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে তিনি উপলব্ধি করেন, অভিনয়ই তার আসল যাত্রা।
মিডিয়াতে কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। তিনি বলেন, ‘নাটকের থেকে ওটিটিতে কাজ করা আরামদায়ক, কারণ গল্প বা চরিত্র নিয়ে ভাবনার জায়গা থাকে।’ ওয়েব সিরিজ ও ছোট পর্দার নাটকে কাজের মাধ্যমে তিনি দর্শকের কাছে পৌঁছেছেন। সর্বশেষ তাকে অমিতাভ রেজা চৌধুরীর পরিচালনায় ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ ওটিটি কনটেন্টে দেখা যায়। এতে স্বল্প সময়ের জন্য পর্দায় থাকলেও তার চরিত্রটি নজর কাড়ে।
নিশার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ‘নো মোর ওয়ার্ডস’, ‘ঘোলা’, ‘মিশন হান্টডাউন’, ‘ব্ল্যাকমেইল’ এবং শিগগিরই মুক্তি পেতে যাওয়া তার একক নাটক ‘সমান সমান’। বর্তমানে ‘কাজিন্স’ ধারাবাহিক নাটকে তিনি কাজ করছেন।
নিশার জন্য প্রতিটি চরিত্র গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘চরিত্রের জন্য যত পরিশ্রম দরকার, ততই করি। আমার কাছে অভিনয়ের জায়গা পবিত্র, তাই আমি মন দিয়ে করি।’ তার লক্ষ্য একজন দক্ষ অভিনেত্রী হওয়া এবং প্রচলিত গল্পের বাইরে নতুন কিছু চেষ্টা করা। তিনি যে চরিত্রে গুরুত্ব আছে, সেই চরিত্রে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
নিশা চৌধুরীর অভিনয় জীবন একটি ধারাবাহিক শেখার ও উদ্ভাবনের পথ। মঞ্চ থেকে ওয়েব, তারপর ছোট পর্দা, প্রত্যেক মাধ্যমেই তিনি তার শিল্পী জীবনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন এবং প্রত্যেক চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে মিশিয়ে নতুন দিক উন্মোচন করছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন