ঢাকা সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫

‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে ‘কৃষিশিক্ষায়’ ফেল

নড়াইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২৫, ০১:২৩ এএম

নড়াইলের লোহাগড়ায় চলতি বছরে এসএসসি পরিক্ষায় ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে ‘কৃষিশিক্ষায়’ অকৃতকার্য হয়েছেন লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার শিক্ষার্থী মো. রোমান মোল্যা। সম্প্রতি প্রকাশিত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে এমন চিত্র দেখা গেছে। গত শনিবার রাতে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। জানা যায়, লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে কারিগরি শাখার (ইলেকট্রিক্যাল) শিক্ষার্থী মো. রোমান মোল্যা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। ১৫ বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ বিষয়ে অকৃতকার্য হন। তবে ফলাফল সিট অনুযায়ী কৃষিশিক্ষায় ‘এ’ গ্রেড পান। ২০২৪ সালে অকৃতকার্য হওয়া ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সেবারও ওই বিষয়ে পাস করতে পারেননি তিনি। তবে যথারীতি কৃষিশিক্ষার ফলাফল ছিল অপরিবর্তিত। এ দিকে ২০২৫ সালে রোমান আবারও একই বিষয়ে পরীক্ষা দেন। তবে এবার বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে তিনি ওই বিষয়ে পাস করলেও ‘কৃষিশিক্ষায়’ তাকে ফেল দেখিয়ে, সামগ্রিক ফলাফলে তাকে পাস দেখিয়ে গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ জিপিএ ৪.১৪ প্রকাশ করা হয়। 
এ বিষয়ে শিক্ষার্থী মো. রোমান মোল্যা মুঠোফোনে বলেন, আমি ২০২৫ সালে শুধুমাত্র বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়টিতে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ফরম পূরণ করি এবং টাকা জমা দিয়েছিলাম। পরে আমি শুধুমাত্র ওই বিষয়টিতে পরীক্ষাও দিয়েছি। বোর্ডের দেওয়া ফলাফলে আমি ওই বিষয়ে এ মাইনাস পেয়েছি। কিন্তু কৃষিশিক্ষায় আমাকে ফেল দেখানো হচ্ছে। আমি তো কৃষিশিক্ষায় পরীক্ষাই দেয়নি। প্রথমে রেজাল্ট সিট দেখে কিছু বুঝতে না পারলেও পরে বিষয়টি দেখতে পাই। তিনি জানান, মানসিকভাবে চাপে আছি, স্যারদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট ধারণা পাইনি বলে জানান এই শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে লক্ষ্মীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম মুরাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। শিক্ষার্থীর ফলাফলের বিষয়টি নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। তবে ধারণা করছি, এটা দায়িত্বরত ব্যক্তির টাইপিং মিসটেক হতে পারে। তিন বছর আগে বোর্ড থেকে জানানো হয়েছিল কোনো শিক্ষার্থী কোনো বিষয়ে ফেল করলে চতুর্থ বিষয়ে যদি পাস করে, পরবর্তী বছরে ফেল করা বিষয়ে পুনরায় পরীক্ষা দিয়ে পাস করলে ও চতুর্থ বিষয়ের ফলাফল যোগ হবে না। তবে পাস করার পরও মার্কসিটে ফেল দেওয়ার কথা নয়।