সিলেটজুড়ে চলমান তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। আষাঢ় মাসের শেষদিকে এসে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই বিভাগে তাপপ্রবাহ যেন অসহনীয় রূপ নিয়েছে। গতকাল রোববার দুপুর ২টায় সিলেটের তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বাস্তব অনুভূতি ছিল আরও ভয়াবহ। প্রায় ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সমতুল্য।
গত শুক্রবার ও শনিবার টানা গরম এবং রাতে বৃষ্টির অনুপস্থিতি পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। রোববার সকাল থেকেই সূর্যের প্রখর তাপে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমের তীব্রতাও বাড়তে থাকে।
গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষজন ও পথচারীরা। রাস্তাঘাট ছিল তুলনামূলক ফাঁকা, যানবাহনের চলাচলও ছিল কম। প্রয়োজন ছাড়া কেউই বাইরে বের হচ্ছেন না।
জিন্দাবাজার এলাকার রিকশাচালক ফজর আলী বলেন, ‘ইলা গরম পড়লে রুজি-রোজগার করা যাইত না। ইলা গরমে রিকশা চালাইলে ভিতর ফাটি যায়। গরম বাড়ার লাগি আগের মতো ইনকাম নাই। মেঘ (বৃষ্টি) দিলে বালা লাগত, না হয় বাঁচার উপায় নাই আমরার মতো গরিবদের।’
এদিকে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তবে এর সঙ্গে কিছুটা স্বস্তির খবরও রয়েছে- সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান রোববার জানান, সোমবার সকাল ৯টার মধ্যে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কিছু এলাকায় মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে, যা হয়তো এই তীব্র গরম থেকে সাময়িক স্বস্তি দিতে পারে।
স্বাস্থ্য বিষেশজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, গরমের এই সময়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে বেশি করে পানি পান করুন, প্রখর রোদে অপ্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া এড়িয়ে চলুন এবং ছায়াযুক্ত বা শীতল স্থানে অবস্থান করুন।