ঢাকা সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫

জরাজীর্ণ ভবনে চিকিৎসাসেবা *** চরম ভোগান্তিতে রোগীরা

দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২৫, ০১:৩২ এএম

পটুয়াখালীর দুমকিতে ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা চলছে ব্যবহারের অনুপযোগী, ড্যামধরা ও পরিত্যক্ত ভবনে। নতুন ভবনের নির্মাণকাজ দীর্ঘ দুই বছর ধরে বন্ধ থাকায় পুরাতন ভবনেই চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে, যা রোগীদের চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গতকাল রোববার সরেজমিন দেখা যায়, বৃষ্টির পানি ছাদ চুইয়ে ওয়ার্ডের ফ্লোর ভিজে একেবারে স্যাঁতসেঁতে হয়ে আছে। দেওয়ালেও রয়েছে ড্যাম, ছাদের ফাঁক দিয়ে পানি পড়ছে। বেশিরভাগ বেডের বেডিং নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে এমন পরিবেশে রোগীদের চিকিৎসা না হয়ে যেন আরও অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সচ্ছল পরিবারের রোগীর স্বজনরা ভর্তি হতে না চাইলেও গরিব অসহায়রা বাধ্য হয়ে এই দুরবস্থার মধ্যেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর শহীদুল হাসান শাহীন বলেন, ‘নতুন ভবনের নির্মাণকাজ দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। তবে ইতোমধ্যে অর্থছাড়ের ইতিবাচক খবর পেয়েছি। অর্থ ছাড় হলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোদ্দার কনস্ট্রাকশন খুব দ্রুত কাজ শুরু করবে বলে আশাবাদী। ইতোমধ্যে পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজও শুরু হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বরিশালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোদ্দার কনস্ট্রাকশন নতুন হাসপাতাল ভবনের পাইলিং কাজ শেষ করে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক উজ্জ্বল পোদ্দার অর্থছাড় বন্ধ থাকার কারণেই কাজ বন্ধ রয়েছে বলে দাবি করেন। তবে একটি সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের রেডকোড অনুযায়ী টেন্ডারে বরাদ্দকৃত দামে বর্তমান বাজার মূল্যের তুলনায় লোকসানের আশঙ্কায় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ রেখেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন বলেন, ‘একটি সরকারি হাসপাতালের পরিবেশ এমন হতে পারে না। দ্রুত পুরাতন ভবনের সংস্কার ও বেড-বেডিং পরিবর্তনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব পালনে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
ডা. শাহীন আরও বলেন, ‘পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। নতুন ভবনের নির্মাণ শেষ হলে এই সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধান হবে বলে আশা করছি।’