রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মো. বাবুল হোসেন, পাঁচবিবি

প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ০২:৪০ এএম

তার ঝুললেও গায়েব সিসিটিভি ক্যামেরা

মো. বাবুল হোসেন, পাঁচবিবি

প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ০২:৪০ এএম

তার ঝুললেও গায়েব  সিসিটিভি ক্যামেরা

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে পৌরসভা ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থাপন করা হয়েছিল দুশরও বেশি ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা। কিন্তু বর্তমানে এসব ক্যামেরার অধিকাংশই গায়েব হয়ে গেছে। ফলে ভারত সীমান্তবর্তী পৌর এলাকায় বাড়ছে চুরি, ছিনতাই, চোরাচালান, হত্যাকা-সহ নানা অপরাধ। তবে খুব দ্রুত নতুন করে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পাঁচবিবি পৌরসভা বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার অন্তর্গত ‘ক’ শ্রেণির একটি পৌরসভা। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ১০ বর্গকিলোমিটার আয়োতনের এই পৌরসভায় জনসংখ্যা ৩৬ হাজার ৭২৫ জন। পৌরসভাটি ভারত সীমান্তঘেঁষা হওয়ায় চোরাচালানসহ নানাবিধ অপরাধ লেগেই থাকে। এ অবস্থায় ২০২৩ সালে পৌর ও থানা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দুইশরও বেশি সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। ফলে অপরাধপ্রবণতা অনেকটাই কমে আসে। কিন্তু ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পালানোর দিন বিক্ষুব্ধ জনতা পৌর শহরের প্রায় সবগুলো সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া থেকে শুরু করে কেউ কেউ সেগুলো খুলে নিয়ে যায়। ফলে সীমান্তবর্তী এই পৌর এলাকায় আবারও চোলাচালান, চুরি, ছিনতাই, হত্যাকা-সহ নানাবিধ অপরাধ বেড়েছে।

পৌর শহরের পাঁচমাথা এলাকার রিকশাচালক মিজানুর রহমান জানান, আগে রাতেও অটোরিকশা চালাতাম। সিসি ক্যামেরা থাকায় ভয় পেতাম না। এখন রাস্তার ধারে অটো রেখে প্রসাব করতে গেলেও ভয় লাগে। বেশ কিছুদিন থেকে শহরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে অধিকাংশ সিসি ক্যামেরা অকেজো হয়েছে।

পৌর শহরের বাসিন্দা ছাত্রদল নেতা শামীম হোসেন বলেন, পৌর শহরের বিভিন্ন জায়গায় যে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো আছে, সেগুলো যদি অকেজো হয়ে থাকে তা দ্রুত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কারণ বর্তমান সময়ে পৌর শহর থেকে শুরু করে উপজেলাব্যাপী বেশ কিছু এলাকায় চুরি-ছিনতাই বেড়েছে।
পাঁচবিবি বণিক সমিতির সভাপতি তাইজুল ইসলাম বলেন, এই শহরে ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত দুই হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। আগে আমরা খুব স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করতাম। কারণ, কেউ চোরাচালান, চুরি-ছিনতাইসহ অন্যান্য অপরাধ করলেই সিসি ক্যামেরায় দেখে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারত। কিন্তু ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো গায়েব হওয়ার কারণে এখন অনেকটা আতঙ্কে ব্যবসা করতে হয়। আমরা চাই, দ্রুত ক্যামেরাগুলো পুনঃস্থাপন করা হোক।

এর আগে ২০২৩ সালে পাঁচবিবি পৌর প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে স্থাপন করা সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো থানা এবং পৌরসভার কন্ট্রোলরুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হলেও এখন আর সেই দৃশ্য চোখে পড়ে না। বর্তমানে শহরজুড়ে হাতে গোনা কয়েকটি ইলেকট্রিক পোলে ক্যামেরা থাকলেও বেশির ভাগ সেটআপ বক্স আর তার ঝুলতে দেখা যায়। তবে পৌর এলাকা এবং উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আগের মতো আবারও ক্যামেরা স্থাপন করা হবে বলে জানালেন পৌর প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

পাঁচবিবি পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মারুফ আহসান বলেনদ, আমরা ইতিমধ্যেই পৌর প্রশাসকের নির্দেশে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোর পয়েন্ট নির্ধারণের কাজ শুরু করেছি। এ বিষয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছি। আশা করছি, খুব শিগগিরই পৌরবাসীর ভোগান্তি এড়াতে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো পুনঃস্থাপন করা হবে।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল ইসলাম জানান, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সিসিটিভি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ লক্ষ্যেই পৌরসভা ও থানার উদ্যোগে ক্যামেরাগুলো সেটআপ করা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ৫ আগস্টের দিন অধিকাংশ ক্যামেরা ভাঙচুর ও খুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তবে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি, আবারও সেগুলো লাগাব।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!