বান্দরবানের থানচি বাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা বিশিষ্ট আবাসিক ছাত্রাবাস ভবনের ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভবনটির দেয়াল ও ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। এ অবস্থায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে ২০১০-১১ অর্থবছরে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে আবাসিক ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরে ২০১২ সালের ২২ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এরপর ২০১৪ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে বাৎসরিক ৩০ শতাংশ এবং পার্বত্য জেলা পরিষদের ৭০ শতাংশ ব্যয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে এই ছাত্রাবাস। ছাত্রাবাসে বর্তমানে ৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
সম্প্রতি থানচি বাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলায় আবাসিক ছাত্রাবাস ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি হলেই ছাদ থেকে পানি পড়ে। এ অবস্থায় ছাত্রাবাসের একটি রুম থাকার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, থানচি উপজেলা পরিষদ ভবনের পাশেই অবস্থিত থানচি বাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আবাসিক ছাত্রাবাস। এ ছাত্রাবাস ভবনের প্রথম ও তৃতীয় তলায় দেয়ালসহ বিভিন্ন অনেকাংশে স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। খসে পড়ছে পলেস্তারা-রং।
এ সময় আবাসিক ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা বলেন, আবাসিক ভবনের প্রথম তলায় ডাইনিং রুম, স্টাডি রুমসহ তৃতীয় তলায় চারদিক অনেকাংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি দিন হলে ছাদ থেকে পানি ঝরছে, একটি রুম বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা ভয়ে-আতঙ্কে আছি।
থানচি বাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক ক্যসাচিং মারমা বলেন, ভবনে ফাটলের কারণে ছাদ থেকে বৃষ্টি পড়ে একটি রুম পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। ভবনের বিভিন্ন স্থানের ফাটল ও রঙের খসে পড়ার ব্যাপারে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের লিখিতসহ মৌখিকভাবেও জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. আবু হানিফ বলেন, আবাসিক ছাত্রাবাস ভবনের ছাদে ফাটল ধরার বিষয়ে অবগত আছি। ইতোমধ্যে প্রাক্কলন করে ঢাকায় অফিসে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :