লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের পন্ডিতপাড়া এলাকায় এক মৎস্য খামারির পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে পাঁচ লাখ টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত খামারি ইয়াকুব আলী।
ভুক্তভোগী ইয়াকুব আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি এক একর জমির পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছেন। এখন ছিল মাছ বিক্রির উপযুক্ত সময়। কিন্তু সকালে পুকুরে এসে দেখেন, শত শত মাছ মরে পানির ওপরে ভেসে উঠেছে। পুকুরপাড়ে তিনি বিষাক্ত ট্যাবলেট জাতীয় কিছু উপকরণ পড়ে থাকতে দেখেন, যেগুলো মাছ মারার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, ‘রাতের আঁধারে কে বা কারা আমার পুকুরে বিষ দিয়ে আমার সব শেষ করে দিয়েছে। প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
ইয়াকুব আলীর ছোটভাই ইজ্জত আলী বলেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতেই পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। পুলিশ যেন দ্রুত তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনে।’
প্রতিবেশী ফজলুর হক ও গজর উদ্দিন বলেন, ‘ইয়াকুব মাছ চাষ করেই সংসার চালান। এই পুকুরেই ছিল তার জীবিকা। রাতের আঁধারে কে বা কারা বিষ দিয়ে মাছ নিধন করেছে, সেটা অবশ্যই নিন্দনীয়। আমরা চাই, অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।’
কালীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইয়েদুল মোফাচ্ছালীন বলেন, ‘খামারির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভবিষ্যতে যেকোনো সরকারি প্রণোদনা বা সুবিধা প্রদানকালে তাকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’
কালীগঞ্জ থানার ওসি সেলিম মালিক জানান, ‘ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’
উল্লেখ্য, কালীগঞ্জ উপজেলায় এর আগেও একাধিকবার পুকুরে বিষ প্রয়োগ কিংবা ফসলের জমিতে নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, এ ধরনের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় বারবার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।